tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
শিক্ষা প্রকাশনার সময়: ০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ২০:০৮ পিএম

এবারও সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে ভর্তি পরীক্ষা: শিক্ষামন্ত্রী


৫

২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা হয়েছে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে। একই সিলেবাসের ওপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।


বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ফল প্রকাশসংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের এইচএসসি পরীক্ষার সিলেবাসের আলোকে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে অনুরোধ জানিয়েছি। আশা করি, সব বিশ্ববিদ্যালয় এটি বাস্তবায়ন করবে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আলাদাভাবে ভর্তি পরীক্ষা নিতো। এখন অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে এসেছে। এসএসসিতে যে বিষয়গুলো নিয়ে পরীক্ষা হয়, তার আরেকটু উচ্চতর স্তরে এইচএসসি। সেই এইচএসসি পরীক্ষার বিষয়গুলো নিয়ে আবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা হয়।’

দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে একটা পরীক্ষা হয়। সেখানে গণিত, বিজ্ঞান, ভাষা ও সাধারণ বিষয়ের ওপর পরীক্ষা নেওয়া হয়। এক পরীক্ষা দিয়েই জাতীয় পর্যায়ে তালিকা তৈরি হয়। সেই স্কোরের ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়ে থাকে।’

একটি পরীক্ষার মাধ্যমে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করা গেলে সবার জন্য সুবিধা হতো জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা এইচএসসিতে যে পরীক্ষা দিচ্ছে, আবার তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিতেও একই পরীক্ষা দিতে হচ্ছে। এটি না করে ভাষা, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর একটি পরীক্ষা নেওয়া হলে ভর্তি পরীক্ষা হয়রানিমুক্ত হতো, সহজ হতো। বিদেশি কারিকুলামে যারা পড়ছে, তাদেরও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ থাকা উচিত।’

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতিতে কাউকে চার থেকে পাঁচ দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে হচ্ছে। শিক্ষার্থীর পছন্দের বিষয়ে পড়তে মাইগ্রেশন সুবিধা নিতে এ ভোগান্তি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা এক পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি নিশ্চিত করতে না পারছি, ততক্ষণ পর্যন্ত গুচ্ছ পদ্ধতি আরও ভালো করে ব্যবস্থাপনা করার চেষ্টা করা হবে।’

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘গুচ্ছ পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে ১০ বছর লেগেছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনেক স্টোকহোল্ডার থাকে। সেখানে শিক্ষকরা রয়েছেন, শিক্ষক সমিতি রয়েছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি স্বায়ত্তশাসিত। তাদের সঙ্গে আলোচনা ও মতামত নিয়ে এগুলো বাস্তবায়ন করতে হয়েছে। প্রথমে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতিতে গেছে। ধাপে ধাপে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গুচ্ছতে গেছে। বর্তমানে চার-পাঁচটি বাদে সব বিশ্ববিদ্যালয় এর অন্তর্ভুক্ত। আশা করি, দ্রুতই একক ভর্তি পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করা সম্ভব হবে।’

করোনাভাইরাসের কারণে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) বাদে ২০২২ সালের পুনর্বিন্যাস করা সিলেবাসে দুটি আবশ্যিক, তিনটি নৈর্বাচনিক ও একটি চতুর্থ বিষয়সহ ছয়টি বিষয়ে মোট ১২টি পত্রের পরীক্ষা নেওয়া হয়। আইসিটি বিষয়ের নম্বর এসএসসি ও সমমান এবং জেএসসি ও জেডিসির ফলের সাবজেক্ট ম্যাপিং করে নম্বর নির্ধারণ করা হয়েছে।

এমআই