আমরা ব্যয় সংকোচন করছি : পরিকল্পনামন্ত্রী
Share on:
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বৈশ্বিক সংকট পরিস্থিতি তুলে ধরে বলেছেন, বর্তমানে বৈশ্বিক সংকট চলছে। বিশ্ব এখন টালমাটাল। সেই ঢেউ কিন্তু আমাদের তরীতেও লেগেছে। আমাদের সরকারপ্রধান সঠিকভাবে দেশ পরিচালনা করছেন। তাই সবাই আমরা ব্যয় সংকোচন করছি, মিতব্যয়িতা অবলম্বন করছি।
শনিবার (১৩ আগস্ট) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার: শিক্ষা, মানসম্মত কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা’ শীর্ষক এক নাগরিক সম্মেলনে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
নাগরিক সম্মেলনে আরও অংশ নেন, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, স্থানীয় শাসন বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন, সিপিডির গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম ও নিজেরা করির সমন্বয়কারী খুশী কবির প্রমুখ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাপনায় নজরদারি বাড়াতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ, কৃষি কর্মকর্তা, তহশিলদার ও ইউপি সচিবদের দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। তহশিলদার ও ইউপি সচিবরা মোস্ট পাওয়ারফুল অ্যান্ড করাপটেড।
স্থানীয় সরকার ব্যবস্থায় নজরদারি বাড়নোর তাগিদ দিয়ে এম এ মান্নান বলেন, জাতীয় পর্যায় থেকে এ বিষয়ে নজর দিতে হবে। এরা অনেক বেশি ক্ষমতাবান। এ কারণে প্রান্তিক মানুষেরা নায্য সেবা পায় না। এরা প্রান্তিক মানুষদের নিয়ে কাজ করে। অথচ দেখবেন এই তহশিলদার ও ইউপি সদস্যরা ভালো পরিবেশে থাকে, সকালে ভালো যানবাহনে চড়ে অফিসে আসে।
আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সরকার ইশতেহার বাস্তবায়ন করছে। তবে গ্রাম ও শহরের মানুষের চাওয়া-পাওয়া এক নয়। গ্রামের মানুষ নানা ভাতার কার্ড, পানি, স্যানিটেশন, সেতু ও সড়ক চায়। উন্নয়নের জন্য দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ প্রয়োজন। এজন্য শোভন রাজনীতি প্রয়োজন। কেবল শোভন কর্মসংস্থান দিয়েই উন্নয়ন হবে না। দেশের ভোটাররা স্থিতিশীল পরিবেশ ও কর্মসংস্থান চায়। বর্তমান সরকার তা-ই করছে।
এম এ মান্নান বলেন, আমি কিন্তু পিছিয়ে পড়া পরিবারের মানুষ। সুতরাং তাদের দুঃখ-কষ্ট আমি বুঝি। তাই সময় পেলেই নাড়ির টানে গ্রামে যাই। গ্রামের মানুষের সমস্যা সমাধানে কাজ করি। আওয়ামী লীগের কিছু জাতীয় ইশতেহার থাকে, আমরা যারা ভোটে দাঁড়াই তাদেরও কিছু ইশতেহার থাকে। গ্রামের মানুষের দৈনন্দিন অবস্থা দেখেই আমরা নিজস্ব কিছু ইশতেহার দিয়ে থাকি।
এইচএন