জন্মবার্ষিকীতে জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা বিএনপির
Share on:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের তার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থায়ী কমিটির দুই সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।
সকাল থেকেই বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা মাজার প্রাঙ্গনে উপস্থিত হতে থাকেন। তখন নেতাকর্মীরা মিছিল, স্লোগানে জিয়াউর রহমানকে স্মরণ করেন। আজকের এই দিনে, জিয়া তোমায় মনে পড়ে, স্বাধীনতার অপর নাম, জিয়াউর রহমান উল্লেখ করে স্লোগান দেন তারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ফারুক, যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সহ-সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু প্রমুখ।
১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় নিভৃত পল্লী বাগবাড়ীর এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন জিয়াউর রহমান। দূরদর্শী ও জনপ্রিয় রাষ্ট্রনায়ক, অসাধারণ দেশপ্রেমিক, অসম সাহসী ও সহজ-সরল ব্যক্তিত্বের প্রতীক হিসেবে জিয়াউর রহমান ইতিহাসে অবিস্মরণীয়। ১৯৮১ সালে কতিপয় বিপথগামী সামরিক কর্মকর্তার হাতে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে শাহাদতবরণ করেন দেশপ্রেমিক এই রাষ্ট্রনায়ক।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে তার মা-বাবা তখন আদর করে কমল নামে ডাকতেন। তার ছেলেবেলা কেটেছে কলকাতায়। তার বাবা মনসুর রহমান তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকারের উচ্চপর্যায়ের একজন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ছিলেন। কলকাতার হেয়ার স্কুলে জিয়াউর রহমান সপ্তম শ্রেণী পর্যন্ত লেখাপড়া করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাগের সময় পরিবারের সাথে শিশু জিয়া করাচি চলে যান। সেখানে কেটেছে তার স্কুল ও কলেজ-জীবন। করাচির স্কুল-কলেজে অধ্যয়নকালে তিনি একজন ভালো হকি খেলোয়াড় ছিলেন। স্কুলে তিনি ইংরেজিতে ভালো বক্তব্য দিতে পারতেন। কৈশোরে নির্মেদ দেহের অধিকারী এক আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি।
করাচির ডি জে কলেজে পড়ার সময় ১৯৫৩ সালে পাকিস্তান সামরিক অ্যাকাডেমিতে একজন অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগদান করেন জিয়াউর রহমান। ১৯৫৫ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে তিনি কমান্ডো ট্রেনিং লাভ করেন। ১৯৬৭ সালের এপ্রিল মাসে ঢাকার অদূরে জয়দেবপুর সাব-ক্যান্টনমেন্টে ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্টের দ্বিতীয় ব্যাচে লিয়নে সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে যোগদান করেন তিনি। একই বছর উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য তিনি পশ্চিম জার্মানি যান। ১৯৭০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তাকে চট্টগ্রামে বদলি করা হয়। তার ঘাঁটি ছিল ষোলশহর বাজারে। সেখান থেকেই তিনি দেশমাতৃকার মুক্তির জন্য ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।
এমএইচ