নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে : সাকি
Share on:
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত ছাড়া দেশ আরও বিপর্যয়ের দিকে যাবে। দেশকে সামগ্রিক বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষার জন্য জনগণের রাজনৈতিক শক্তিকে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য নির্বাচিত করতে হবে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে গণসংহতি আন্দোলনের সংগ্রামের দুই দশক এবং রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশের সাত বছর উপলক্ষে আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
‘সরকারের পদত্যাগ ও ফ্যাসিবাদের পতনে আন্দোলন জোরদার’ এবং ‘ভোটাধিকার ও রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ঘটাতে জনগণের বৃহত্তর ঐক্য’ গড়ে তোলার দাবিতে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতির বক্তব্যে জোনায়েদ সাকি বলেন, সরকার ভোটাধিকার হরণ করেছে। দেশের সার্বভৌমত্বকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। লুটপাট করে দেশের ব্যাংক ব্যবস্থাকে প্রায় দেউলিয়া করেছে। টাকা পাচার করে দেশের অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি করেছে। সংবিধানের ৫০ বছর পূর্তি হচ্ছে, এই সংবিধান জনগণের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি বরং স্বৈরতন্ত্রের জন্ম দিয়েছে। সুতরাং এই সংবিধান সংস্কার করে একটা নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণসংহতি আন্দোলন গণমানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য, শাসনতন্ত্র বদলের জন্য লড়াই শুরু করেছে। জনগণের বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত আমাদের লড়াই চলবে।
জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য দেওয়ান আবদুর রশিদ নীলু, হাসান মারুফ রুমী, তাসলিমা আখতার, মনির উদ্দীন পাপ্পু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, দীপক রায়, ইমরাদ জুলকারনাইন ইমন, তরিকুল সুজন, কেন্দ্রীয় সদস্য সৈকত মল্লিক, অঞ্জন দাস, উবা থোয়াই মারমা, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মশিউর রহমান খান রিচার্ডসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা নেতারা। সমাবেশ পরিচালনা করেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য জুলহাসনাইন বাবু।
এমআই