জনসমর্থন আরও বাড়ছে: ইমরান খান
Share on:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান বলেছেন, তার দলের প্রতি জনসমর্থন আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে, যদিও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ দলটি ছেড়ে চলে গেছেন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
পাকিস্তানের বর্তমান সরকারকে ‘একটি পুতুল সরকার’ হিসেবে উল্লেখ করেন ইমরান খান।
তিনি বলেন, ‘এমন একটি সরকার যেটি এখন সামরিক সংস্থার উপর সওয়ার হয়ে পড়েছে, কারণ তারা জানে যে, যদি নির্বাচন হয় তবে তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।’
সাক্ষাৎকারে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী।
ইমরান খান বলেন, তিনি যাতে আগামী নির্বাচনে জয়ী হতে না পারেন, সেজন্য চেষ্টা করছেন সেনাবাহিনীর জেনারেলরা। এই প্রচেষ্টা দেশটিতে একটি দুর্বল সরকারের পথ প্রশস্ত করবে। অথচ পাকিস্তানে এখন চরম আর্থিক সংকট বিরাজ করছে।
লাহোরের জামান পার্কে অবস্থিত নিজের বাসভবনে শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্লুমবার্গের সঙ্গে আলাপকালে খান তার সমর্থকদের গ্রেফতার করার জন্য সরকারের সমালোচনা এবং সেনাবাহিনীর চাপের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, পরবর্তী নির্বাচনের আগে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ পার্টিকে ‘ভেঙে চুরমার’ করতে চাইছে তারা। অক্টোবরের মাঝামাঝি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। অথচ তার আগে সরকার বলছে, গেল মে মাসে সামরিক ভবনে যে হামলা হয়েছে, তার জন্য তাকে জবাবদিহি করতে হবে। গত ৯ মে ইমরান খানকে একটি মামলায় গ্রেফতার করলে পাকিস্তানজুড়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। দুই দিন পর তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত বছরের এপ্রিলে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে ক্ষমতা হারান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। যদিও এর পর থেকে যত জরিপ পরিচালিত হয়েছে, তার সবগুলোতে ইমরান খান জনপ্রিয় নেতা হিসেবে প্রমাণ হয়েছেন। সেই সঙ্গে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে বেশ কিছু সফল সমাবেশ করেছে পিটিআই, যেখানে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি লোকের সমাগম হয়েছে।
অথচ মে মাসের ঘটনায় সরকার দলটির বিরুদ্ধে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে। যদিও পিটিআই প্রধান হামলায় দলটির জড়িত থাকার বিষয় অস্বীকার করেছেন। ওই ঘটনার পর দলটির বেশ কিছু সিনিয়র নেতা পদত্যাগ করেছেন। যদিও ইমরান খান অভিযোগ করেছেন যে, তার দলের নেতাদের পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে।
অক্টোবরে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে ইমরান খান বলেন, ‘এটা পুরোটাই নির্ভর করছে এস্টাব্লিশমেন্টের (সেনাবাহিনী) ওপর। তারা যখন দেখবে পিটিআই আর নির্বাচনে জিততে পারবে না, এবং সেটা নিশ্চিত হলেই নির্বাচনের ঘোষণা দেবে।’
তবে সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রীর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে সরকার ও সেনাবাহিনীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও ব্লুমবার্গের অনুরোধে সাড়া দেয়নি কেউ। যদিও উভয়ই (সরকার ও সেনাবাহিনী) এর আগে বলেছে, ইমরান খান এবং তার সমর্থকরা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সম্পত্তিতে হামলার মাধ্যমে সীমা অতিক্রম করেছে।
এবি