ছুটির দিনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে তীব্র যানজট
Share on:
ছুটির দিনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড থেকে মদন এলাকা পর্যন্ত চট্টগ্রামমুখী লেনে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ আগস্ট) ভোর থেকে শুরু হয়ে সেটি বেলা ১১টা পর্যন্ত অব্যাহত আছে।
চিটাগাংরোডের বাস কাউন্টারের ম্যানেজার জাহাঙ্গীর বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ এখনও পুরোপুরি দায়িত্ব পালন করছেন না। এ কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। শিমরাইল এলাকায় হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্যকে যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়নি।
পরিবহণ শ্রমিক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার ভোরের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রামমুখী লেনে যান চলাচল হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এতে চট্টগ্রামমুখী লেনে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। ছুটির দিনে দূরপাল্লার শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যান মহাসড়কে আটকে পড়ে আছে। এ কারণে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
আশরাফুল ইসলাম নামে এক যাত্রী বলেন, কুমিল্লা যাওয়ার জন্য ঢাকা থেকে আমি সকাল ৮টায় বাসে উঠি। কিন্তু এখনও চিটাগাং রোড পার হতে পারিনি।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকেই যানজটের কারণে হেঁটে ও ছোট ছোট যানবাহনে করে বিকল্প রাস্তায় গন্তব্যে যাচ্ছেন।
সাইফুল ইসলাম নামে এক পথচারী বলেন, আমি কাঁচপুর তারাবো যাওয়ার জন্য নাফ বাসে উঠেছিলাম। প্রায় আধা ঘণ্টা বাসে বসে থাকার পরেও গাড়ি ছাড়েনি। তাই এখন রিকশায় করে আগে কাঁচপুর যাবো।
বিল্লাল হোসেন নামে চট্টগ্রামগামী একটি বাসের হেলপার বলেন, যানজটের কারণে সাইনবোর্ড থেকে চিটাগাং রোডে পৌঁছতে ১ ঘণ্টা সময় লেগেছে। অথচ এটি মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল হক বলেন, আজ সকাল ৭টার দিকে লাঙ্গলবন্দ এলাকায় মহাসড়কে যানবাহন বিকল হয়ে যায়। এতে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে আমরা বিকল যানটি মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিয়েছি। দুপুরের মধ্যে যানজট স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
এনএইচ