tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
আন্তর্জাতিক প্রকাশনার সময়: ০৫ ডিসেম্বর ২০২৩, ২১:২১ পিএম

আবারও মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রসঙ্গ


image_45551_1701785801

পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র মিলার বলেন, ‌‘আমরা বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন দেখতে চাই। নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হোক সেটাই আমরা চাই।’


সোমবার (৪ ডিসেম্বর, স্থানীয় সময়) মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পরিষ্কার করেন।

সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে মিলার বলেন, আমি নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে অনুমান করতে যাচ্ছি না। আমি তাই বলব, যা আগেও বেশ কয়েকবার বলেছি। আমরা বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে দেশের সরকার, বিরোধীদল, সুশীল সমাজ এবং সব অংশগ্রহণকারীকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার জন্য আহ্বান জানাতে থাকব। যাতে শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।

গত ২০ নভেম্বর নিয়মিত প্রেস ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ নিয়ে আমেরিকার অবস্থান জানতে চান আরেকজন সাংবাদিক। যেখানে মিলারকে প্রশ্ন করা হয়- ‌‘সংলাপে বসতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার আবারও একতরফা নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছে। বিরোধী নেতাকর্মীদের আটক করছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে এক দলের কর্তৃত্বের বিরুদ্ধে কী উদ্যোগ নিচ্ছে?’

জবাবে মিলার বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ দলকে সমর্থন করে না। শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন- বাংলাদেশের জনগণ যা চায় যুক্তরাষ্ট্রও তা চায়। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ওই লক্ষ্য অর্জনে একসঙ্গে কাজ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ সরকার, বিরোধী দল, নাগরিক সমাজসহ সব অংশীদারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে।

ওই ব্রিফিংয়ে মিলারের কাছে জানতে চাওয়া হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশের বড় তিন দলকে নিঃশর্ত সংলাপে বসার চিঠি দিয়েছেন। আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে ৩০টিরও বেশি দল নির্বাচনে যাওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছে। কেবল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির বর্জন কি নির্বাচনের অংশগ্রহণমূলক ও বৈধতাকে প্রশ্নের মুখে ফেলবে?

নির্বাচন ছাড়াও ব্রিফিংয়ে উঠে আসে দেশের পোশাক শ্রমিক আন্দোলনের ইস্যুও। বাংলাদেশে শ্রমিকদের বিক্ষোভে প্রাণহানি এবং সহিংসতার ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়ে মিলার বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভে সহিসংতা, শ্রমিক এবং ট্রেড ইউনিয়নের বৈধ কার্যক্রমকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করার মতো বিষয়গুলোতে আমেরিকা নিন্দা জানাচ্ছে। শ্রমিক ও ট্রেড ইউনিয়নগুলোর বিরুদ্ধে চলমান দমনপীড়ন নিয়েও উদ্বেগ জানান তিনি।

এম এইচ