বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু
Share on:
রাজধানী ঢাকা সংলগ্ন গাজীপুর জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে বিশ্ব ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে আজ। এবারের ইজতেমায় বিভিন্ন দেশ থেকে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লি অংশ নেবেন বলে জানিয়েছে আয়োজক কর্তৃপক্ষ।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) বাদ ফজর পাকিস্তানের মাওলানা ওসমানের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
মঙ্গলবার রাত থেকেই বিভিন্ন জেলা থেকে মুসল্লিরা ইজতেমা ময়দানে আসতে থাকেন। বিশেষ করে বিপুল সংখ্যক বিদেশি মুসল্লি বুধবার রাত থেকে ময়দানে এসে অবস্থান নেন।
দ্বিতীয় পর্বেও দেশের ৬৪ জেলা ছাড়াও বিদেশি মুসল্লিরা ইজতেমায় অংশ নিয়ে যার যার খিত্তায় অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার ফজরের নামাজের পর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল ইজতেমার আনুষ্ঠানিকতা। প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ইজতেমার সার্বিক নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা গড়ে তুলেছেন নিরাপত্তাবলয়।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেছেন, বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্বের মতো দ্বিতীয় পর্বেও ব্যাপক নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে পুরো বিশ্ব ইজতেমাকে নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রথম পর্বে যেসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছিল এবারও ঠিক আগের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা অটুট থাকবে।
পুলিশ কমিশনার বলেন, বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পুরো ইজতেমা ময়দানকে কয়েকটি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে ময়দানের আশপাশে সাত হাজার ৫৩৯ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন।
তিনি আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে ইউনিফর্ম ডিউটি, স্থির পিকেট ডিউটি, ফুট প্যাট্রল ডিউটি, মোবাইল ডিউটি, ওয়াচ টাওয়ার, রুফটপ ডিউটি। এছাড়াও সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি, সিসিটিভি সার্ভিল্যান্স, এরিয়া সার্ভিল্যান্স, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), অ্যান্টি টেরোরিজম ইউনিট (এটিইউ), ডিবি, কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি), ফায়ার সার্ভিস, বোম ডিসপোজাল ইউনিট, নৌ-প্যাট্রল টিম, ফরেনসিক টিম, সাইবার প্যাট্রলিং, এলআইসি, পিএইচকিউ, এপিসি, জলকামান, মেডিকেল টিম, অ্যাম্বুলেন্স টিম, অনুসন্ধান ডেস্ক, হারানো ও প্রাপ্তি কক্ষ, ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট ও মোবাইল কোর্ট দায়িত্ব পালন করবে।
এন