ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার
Share on:
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে ভয় পেয়ে, অবহেলা করে বা পরিত্যাগ করে নয়, বরং এর সুযোগ সুবিধাগুলোতেই বাংলা ভাষা, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডিজিটাল প্রযুক্তিতেই ঐতিহ্য রক্ষা করতে হবে। তিনি বলেন, প্রযুক্তিকে ভয় পেয়ে, অবহেলা করে বা পরিত্যাগ করে নয়, বরং এর সুযোগ সুবিধাগুলোতেই বাংলা ভাষা, বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে হবে।
আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ‘ঐতিহ্য সংরক্ষণে প্রযুক্তির ভূমিকা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভা যৌথভাবে আয়োজন করে এসএমই ফাউন্ডেশন এবং এএফডিবি।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা পালের নৌকা কিংবা লাঙল জোয়ালে ফিরতে পারব না, ডিজিটাল প্রযুক্তি দিয়েই হারানো ঐতিহ্যকে রক্ষা করতে পারব।
ডিজিটাল পণ্যের আমদানিকারক দেশে থেকে রপ্তানিকারী দেশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অর্জনকে এগিয়ে নিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে কাজ করে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বাংলাদেশের উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্র বাংলাদেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেছে উল্লেখ করে বলেন, ‘বিশ্বের ৮০টি দেশে আমরা সফটওয়্যার রপ্তানি করছি। নেপাল, নাইজেরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত ডিজিটাল যন্ত্র রপ্তানি হচ্ছে।
মেড ইন বাংলাদেশ পোশাক বিশ্বে দ্বিতীয় উৎপাদনকারী ও রপ্তানিকারক হিসেবে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রাখছে।’
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার ২০০৯ সালে দায়িত্বভার গ্রহণকালে বাংলাদেশের টেলিডেনসিটি ছিল ৩০ শতাংশ। বর্তমানে এই হার প্রায় শতভাগে উন্নীত হয়েছে। ২০০৮ সালে যেখানে মোবাইল গ্রাহক ছিল ৪ কোটি ৪৬ লাখ, বর্তমানে তা ১৮ কোটি ২০ লাখ অতিক্রম করেছে।
এই সময়ে দেশে ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল মাত্র ৪০ লাখ, বর্তমানে এ সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি ৯১ লাখ। ব্যান্ডউইডথের ব্যবহার যেখানে ছিল ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস, বর্তমানে তা ২৭শত জিবিপিএস অতিক্রম করেছে।’
তিনি জানান, অনেকেই মনে করেন ডিজিটাল যুগে ডাকঘরের গুরুত্ব আর নেই। কিন্তু আমরা ডাকঘরকে ডিজিটাল করছি এবং ডাকঘরই ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা করার সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হিসেবে গড়ে উঠছে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, এএফডিবি’র কর্ণধার মানতাশা আহমেদ, ওয়ালটনের নির্বাহী পরিচালক এসএম জাহিদ হাসান এবং পাঠাও-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফাহিম আহমেদ বক্তৃতা করেন। সূত্র: বাসস।
এইচএন