কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগের হামলায় জামায়াাতের নিন্দা ও প্রতিবাদ
Share on:
গত ১৫ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ব্যাপক হামলায় ৫ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী আহত হওয়ার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার এক বিবৃতিতে এই প্রতিবাদ জানান ।
তিনি বলেন, সরকারি চাকরিতে বর্তমান কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে দলমত নির্বিশেষে গোটা ছাত্রসমাজ শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ছাত্রসমাজের দাবির যৌক্তিক সমাধানের পরিবর্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের মন্ত্রীগণ আন্দোলনকারী ছাত্র সমাজকে কটাক্ষ করে উস্কানিমূলক বক্তব্য দিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি করে ছাত্রসমাজের আন্দোলন বানচালের ষড়যন্ত্র শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনকারী ছাত্রসমাজকে “রাজাকারের নাতি-পুতি” আখ্যা দিয়ে কটাক্ষপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত ১৫ জুলাই আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির অফিসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন যে, “আত্মস্বীকৃত রাজাকারদের জবাব দিতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট।” পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের পিতা-মাতাকে কটাক্ষ করে অবমাননাকর মন্তব্য ছুঁড়ে দিয়ে শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে উত্তপ্ত করেছে। সরকার ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ছাত্রলীগ ও বহিরাগত আওয়ামী সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিয়ে গত ১৫ জুলাই ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে হামলা চালিয়ে পাঁচ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে আহত ও রক্তাক্ত করেছে।
সন্ত্রাসী তাণ্ডব বন্ধ করে আন্দোলনকারী ছাত্র-ছাত্রীদের যৌক্তিক দাবির সুষ্ঠু সমাধানের জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সেই সাথে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।
প্রেসবিজ্ঞপ্তি//এমএইচ