tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অপরাধ প্রকাশনার সময়: ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ১২:৪২ পিএম

আমি কোনো অপরাধ করিনি, তাই শঙ্কিত নই : ড. ইউনূস


121513_টাইম নিউজ_dr-unus (1)
সাংবাদিকদের সামনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দুদকের জিজ্ঞাসাবাদ প্রসঙ্গে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি। তাই শঙ্কিত নই।’


তিনি বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়েছিল, তাই এসেছিলাম। যেহেতু এটা আইনগত বিষয়, তাই বিস্তারিত আমার আইনজীবী বলবেন’।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৩৭ মিনিটে দুদক কার্যালয়ে প্রবেশ করেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে প্রায় এক ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তারা।

ইউনূসের আইনজীবী ও দুদক সূত্র জানায়, সকালে ড. ইউনূসের সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান দুদক কার্যালয়ে আসেন। সকাল ১০ টা থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেলা ১১ টার দিকে দুদক কার্যালয়ে থেকে বের হন ড. ইউনুসসহ গ্রামীণ টেলিকমের কর্মকর্তারা।

পরে ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘এই মামলা অবশ্যই ভিত্তিহীন এবং কাল্পনিক অভিযোগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে’।

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ড. ইউনূসের আইনজীবী হিসেবে ভেতরে (দুদক কার্যালয়ে) গিয়েছিলাম এবং আমি আইনের সমস্ত ব্যাখ্যা ওখানে দিয়েছি। উনারা (দুদক) বলেছেন, ওই সমঝোতা চুক্তিটি জাল। আমি বলেছি, আপনারা জাল বলতে পারেন না। কারণ, দুই পক্ষের সমঝোতা যখন হয় তখন আর সেটা জাল থাকে না এবং এটা হাইকোর্টের অনুমোদন পাওয়া, সুতরাং এটা জাল না। ওই চুক্তিতে ছিল শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে সাত দিনের মধ্যে অ্যাকাউন্ট করতে হবে। সাত দিনের মধ্যে আমরা অ্যাকাউন্ট করেছি। হ্যা আমরা টেলিফোনে অনুমতি নিয়েছি। কারণ, সবাই এক সঙ্গে থাকে না। আমরা ৯ তারিখের জুম মিটিংয়ের মাধ্যমে সবার অনুমতি নিয়েছি। দুদক বলেছে, আপনারা অনুমতিটা পরে নিয়েছেন। আমি বলেছি, দেরি হওয়ার ঘটনা যদি ঘটে থাকে তাহলে এটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে’।

এর আগে গত বুধবার গ্রামীণ টেলিকমের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারের মামলায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তিন কর্মকর্তারা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের পরিচালক নাজনীন সুলতানা, নূরজাহান বেগম ও হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী।

তার আগে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. ইউনূসসহ সংশ্লিষ্ট ১৩ জনকে তলব করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের দুদকের প্রধান কার্যালয়ে হাজির হতে নোটিশ দেয় সংস্থাটি। গত ৩০ মে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ ১৩ জনকে আসামি করে মামলাটি করে দুদক। মামলায় ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগ আনা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূস ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, পরিচালক ও সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও পরিচালক এসএম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী। এছাড়া অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী, অ্যাডভোকেট জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান ও প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

এনএইচ