রাশিয়ার দুটি জ্বালানি ডিপোতে ড্রোন হামলায় আগুন
Share on:
রাশিয়ার দুটি জ্বালানি ডিপোতে সন্দেহজনক ড্রোন হামলার পর আগুন ধরে যায়। বৃহস্পতিবার এ হামলা হয়েছে। রাশিয়ার তেল শিল্পের ওপর ইউক্রেনের ধারাবাহিক হামলার অংশ হিসেবে এ ড্রোন হামলা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তাম্বভ অঞ্চলের গভর্নর মাক্সিম ইয়েগোরভ জানান, মস্কোর দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের প্লাটোনোভস্কায়া জ্বালানি ডিপোতে বিস্ফোরণের পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ধারণা করা হচ্ছে, ড্রোন হামলার পর আগুন ধরেছে। এ হামলায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
তবে রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, একই জ্বালানি ডিপোর দ্বিতীয় একটি রিজার্ভারেও আগুন ধরে যায়।
স্থানীয় জরুরি সেবা কর্তৃপক্ষ সম্ভাব্য ড্রোন হামলার সতর্কতা জারি করেছে এবং সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক থাকতে এবং খোলা স্থানে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
এর আগে রাশিয়ার উত্তর ককেশাস অঞ্চলের আদ্যগেয়ায় আরেকটি জ্বালানি ডিপোতে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার কারণে আগুন ধরে যায়। তবে সেই আগুন ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে আঞ্চলিক প্রধান মুরাত কুম্পিলভ টেলিগ্রামে জানিয়েছেন।
রাশিয়ার বিভিন্ন বড় জ্বালানি ডিপোতে ড্রোন হামলার ঘটনা বেড়েছে। যদিও তেল শোধনাগারগুলোর ওপর হামলার সংখ্যা কমেছে।
ইউক্রেন বলছে, রাশিয়ার জ্বালানি স্থাপনাগুলো তাদের বৈধ লক্ষ্যবস্তু। কারণ এগুলো ইউক্রেনে চলমান রাশিয়ার যুদ্ধে ভূমিকা রাখছে। ইউক্রেনীয় শহর ও অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এ আক্রমণগুলো ন্যায্য বলে দাবি করছে কিয়েভ।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলে রাশিয়ার হামলায় জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিনজন শ্রমিক আহত হয়েছেন এবং কয়েকটি এলাকায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাশিয়ার আজভ শহরের তেল সংরক্ষণের কয়েকটি ট্যাংকে ড্রোন হামলার পর আগুন ধরে যায়। ইউক্রেনের নিরাপত্তা সংস্থা (এসবিইউ) এ হামলা পরিচালনা করেছে বলে জানিয়েছে ইউক্রেনীয় গোয়েন্দা সূত্র।
বুধবার স্থানীয় জরুরি সেবা বিভাগের তথ্যমতে, ওই আগুন এখনো নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি এবং প্রায় দেড় দিন ধরে জ্বলছে।
রাশিয়ার প্রায় ৩০টি বড় তেল শোধনাগার রয়েছে। এগুলোর কার্যক্রম ব্যাহত হলে অভ্যন্তরীণ ও বৈশ্বিক বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে। এছাড়া দেশটিতে গ্যাসোলিন এবং ডিজেলের মতো বিভিন্ন তেলপণ্য সংরক্ষণকারী শত শত জ্বালানি রিজার্ভার রয়েছে।
এমএইচ