tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
জাতীয় প্রকাশনার সময়: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১২:১৬ পিএম

বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে জড়িত সবাইকে ধন্যবাদ : প্রধানমন্ত্রী


24

এখানে একটা টানেল হয়েছে দেখে এখনই উদ্বোধন করছি না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমার ইচ্ছা ছিল দেখার যে, কেমন হলো। দক্ষিণ এশিয়ায় এটিই প্রথম। মনটা পড়ে আছে চট্টগ্রামে।


তিনি আরও বলেন, দ্বিতীয় টিউবের কাজও শেষ; সামান্য কাজ বাকি। বিরাট কাজ বলে মনে করি। টানেল নির্মাণে যারা জড়িত, সবাইকে ধন্যবাদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের উত্তর টিউবের পূর্তকাজও শিগগিরই শেষ হবে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্তকাজের সমাপনী উদযাপন অনুষ্ঠানে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

সরকার প্রধান বলেন, ‘যোগাযোগ ব্যবস্থায় নতুন প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করেছি। বাংলাদেশ যে পারে, পদ্মা সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে আমরা প্রমাণ করেছি। নির্মাণকাজে সহযোগিতা করেছিল চীন। তাদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, সেতু সচিব মঞ্জুর হোসেন বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।

এদিকে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সম্পূর্ণ বঙ্গবন্ধু টানেল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে উদ্বোধন করা হবে। টানেলের অভ্যন্তরে ৯৩ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। এখনও বাকি রয়েছে ৭ শতাংশ কাজ।

গত শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস জানান, ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের ৯৪ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী জানুয়ারিতে টানেলের সব কাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানুয়ারি মাসের মধ্যেই টানেলটি জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব বলেন, ‘টানেলটি জাতীয় অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিতে শূণ্য দশমিক ১৬৬ শতাংশ অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। টানেলটি চট্টগ্রামের যানজট পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি ঘটাবে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহায়ক হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ পদ্মা সেতুর পর আরেকটি মেগা প্রকল্প বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তরে এদিন সাংবাদিকদের কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ বলেন, ‘টানেলের দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্ত হয়েছে।

পরিচালক মো. হারুনুর রশীদ আরও বলেন, চীনের সাংহাই শহরের আদলে চট্টগ্রামকে ‘ওয়ান সিটি, টু টাউন’ মডেলে গড়ে তুলতে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে এই টানেল করছে সরকার।

এদিন টানেলের পতেঙ্গা প্রান্তে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। পুরো টানেলের উদ্বোধন হবে আগামী জানুয়ারিতে। ২৬ নভেম্বর টানেলের দক্ষিণ প্রান্তের টিউবের নির্মাণকাজ শেষ হচ্ছে।

উত্তর প্রান্তে টিউবের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। সম্পূর্ণ কাজ শেষ করতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এরপর যানচলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, চীনের কারিগরি সহায়তায় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি।

চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পের জন্য ৫ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা ঋণ দেয়। অবশিষ্ট টাকার জোগান দেয় বাংলাদেশ সরকার।

৬৩ লাখ গাড়ি চলাচল করবে টানেল চালুর প্রথম বছর। এরমধ্যে প্রায় ৫১ শতাংশ কনটেইনার পরিবহনকারী ট্রেইলর, ট্রাক ও ভ্যান এবং ৪৯ শতাংশ বাসসহ ছোট যানবাহন। এমন ধারণা কর্তৃপক্ষের।

এন