আমার চিকিৎসা বাংলাদেশে নাই : সম্রাট
Share on:
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তবে, চিকিৎসার প্রয়োজনে ডাক্তারদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগ পর্যন্ত হাসপাতালের হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে তাকে।
সম্রাট সংবাদ মাধ্যমকে কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার পর হাসপাতালের বিছানায় বসে একান্ত সাক্ষাৎকার দেন। নিজের অসুস্থতা প্রসঙ্গে সম্রাট বলেন, ‘আমার শরীর সুস্থ করতে হলে যে মানের চিকিৎসা প্রয়োজন, তা বাংলাদেশে নাই। আমার উন্নত চিকিৎসা দরকার। তার জন্য দেশের বাইরে যেতে হতে পারে।’
সোমবার (২২ আগস্ট) রাত ৯টা ১০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) আইসিইউ ইউনিটে সম্রাটের রিলিজ পেপারে স্বাক্ষর করে কারা কর্তৃপক্ষ। ফলে সম্রাটের মুক্তিতে আর বাধা রইলো না। তবে চিকিৎসার প্রয়োজনে সম্রাটকে আপাতত হাসপাতালে ডাক্তারের হেফাজতে থাকতে হচ্ছে।
কারা কর্তৃপক্ষ মুক্তি দিলেও হাসপাতালের নিয়ম অনুযায়ী সম্রাটের সব ধরনের সাক্ষাৎকারে কড়াকড়ি আরোপ রয়েছে।
সম্রাট বলেন, ২৪ বছর আগে আমার ভালভ চেঞ্জ করা হয়েছে। চেঞ্জ করা ভালভ নিয়ে আমি ২৪ বছর টিকে আছি। ডাক্তাররা আমাকে ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করে সুস্থ রেখেছেন ঠিকই, কিন্তু আমার যে লিভারের মূল সমস্যা, তার সমাধান বাংলাদেশে হবে না। আমাকে বিদেশেও যেতে হতে পারে।
নিজের মুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মুক্তি পেয়েছি ঠিকই, আমি তো আমার পরিবারের সঙ্গেও কথা বলতে পারছি না। আমার ছাড়া পাওয়ার ব্যাপারে এখন আমি কোনো কথাই বলতে পারছি না।
কারণ, আমাকে নিয়ে ডাক্তাররা একটা বোর্ড বসবে। সে বোর্ড তো আজকে বসতে পারেনি। কাল বসে হয়তো সিদ্ধান্ত নেবে কী করা যায়। তখন আমিও হয়তো তাদের সঙ্গে বের হবো।
প্রসঙ্গত, সারাদেশে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান চলাকালে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর সম্রাট ও তার সহযোগী তৎকালীন যুবলীগ নেতা এনামুল হক ওরফে আরমানকে কুমিল্লা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ওই বছরের ১২ নভেম্বর সম্রাটের বিরুদ্ধে দুদকের করা মামলায় দুই কোটি ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর এ মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।
অভিযোগপত্রে সম্রাটের বিরুদ্ধে ২২২ কোটি ৮৮ লাখ ৬২ হাজার ৪৯৩ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়।
রমনা থানায় দায়ের করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গত ১১ এপ্রিল জামিন পান সম্রাট। এর একদিন আগেই ১০ এপ্রিল অর্থপাচার ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক দুটি মামলায় ঢাকার পৃথক আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।
এইচএন