মুন্সিগঞ্জে একটি কেন্দ্র রণক্ষেত্র, ৪ পুলিশ সদস্য আহত
Share on:
মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে হোসেন্দী বহুমুখী কেন্দ্রে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের গাড়ি।
বুধবার (৮ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে হোসেন্দী কেন্দ্রের সামনের হোসেন্দী বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় মুহুর্মুহু গুলিতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে চারদিকে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠুর নেতৃত্বে এ হামলার অভিযোগ উঠেছে। মিঠু উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের সমর্থক বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। আহত পুলিশ সদস্যদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেন্দী বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে সকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। দুপুর ২টার দিকে হোসেন্দী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনিরুল হক মিঠু আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিরুল ইসলামের পক্ষ নিয়ে কেন্দ্র দখল করে জাল ভোটের চেষ্টা চালান। এসময় ছিনিয়ে নেওয়া হয় ভোটের সিল। এ ঘটনায় বিকেল ৩টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত কেন্দ্রটিতে ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল।
পরে আবারও ভোটগ্রহণ শুরু হলে মিঠুর কর্মী-সমর্থকরা পুলিশের ওপর গুলিবর্ষণ ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এসময় ইটের আঘাতের শামীম নামের একট কনস্টেবলসহ চারজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে পুলিশ প্রতিরোধের জন্য অবস্থান নিয়ে পাল্টা রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুরো এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। দ্বিতীয় দফা বন্ধ হয়ে যায় ভোটগ্রহণ। ইট-পাটকেলের আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি হয় পুলিশের গাড়ি। পরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ঘটনাস্থলে অবস্থান নিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
এ বিষয়ে নির্বাচনে দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তোফায়েল হোসেন বলেন, আকস্মিক আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। প্রতিরোধে আমাদের পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের চার সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। চারজনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন।
এমএইচ