দুর্নীতি ও তেলবাজিতে চলছে রেল
Share on:
রেলে বছরের পর বছর চাকরি করলেও মেলে না পদোন্নতি। অথচ টিকিট কেনাবেচা থেকে পদোন্নতি। তেলেসমাতির জোরে পিয়ন হয়ে যান কর্তাব্যক্তির বস।
রেলে বছরের পর বছর চাকরি করলেও মেলে না পদোন্নতি। অথচ টিকিট কেনাবেচা থেকে পদোন্নতি। তেলেসমাতির জোরে পিয়ন হয়ে যান কর্তাব্যক্তির বস।
সবকিছুই চলে ম্যানেজের ওপর। ওজন বুঝে লোকের সেবা দেন দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিরা। আর সত্য বললে চাকরি হারান কর্মচারীরা।
শুধু তাই নয়, রেল পরিচালনা, অবকাঠামোর কর্মকাণ্ড, ইঞ্জিনসহ বিভিন্ন খাতের কেনাকাটা, প্রকল্প পরিচালনাসহ নানা খাতে দুর্নীতির সীমাহীন অভিযোগও রয়েছে।
এদিকে টাকা ভাগবাটোয়ারার কথা সংবাদ মাধ্যমকে বলায় চাকরিও হারিয়েছেন চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা গোধূলি এক্সপ্রেসের স্বপ্নীল এসোসিয়েটস এর অ্যাটেন্ডেন্টস সোহেল রানা।
সোহেল রানার মতো রেলের এমন হাজারো কর্মী আছেন চাকরি হারানোর ঝুঁকিতে। মুক্ত বাতাসে রেলের প্লাটফর্মে কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ার বা সাবধান স্লোগান দিলেও কোনো কর্ণপাতই করেন না তারা। মিছিল-মিটিং আন্দোলন অনশন করেও ফায়দা হয় না তাদের।
অপরদিকে ২৩ বছর ধরে রেলের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে চাকরি করেও পদোন্নতি পাননি আমিনুল্লাহ বাচ্চু। রেলের ডিজি আর সচিব বরাবর আবেদন করায়, উল্টো শোকজ করা হয় তাকে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, পদোন্নতির কথা বলায় আমাকে শোকজ করা হয়েছে। অথচ আমার পিয়ন যে এখন প্রধান সহাকারী।
বাংলাদেশ রেলওয়ের পরিচালক (জনসংযোগ) মোহাম্মদ সফিকুর রহমান বলছেন, দায়িত্ব পালনে ঝুঁকিতে আর চাপে থাকতে হয় তাদের। টিকিট না পেলে প্রশাসনের পাশাপাশি রাজনৈতিক দলের নেতারাও নাকি হামলে পড়েন তাদের ওপর। থাকে নানা মহলের চাপ।
এইচএন