ইউক্রেনে জয় পেতে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই: পুতিন
Share on:
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনে যুদ্ধ চলছে। রক্তক্ষয়ী এই যুদ্ধে উভয়পক্ষের বহু বেসামরিক নাগরিক হতাহত হয়েছেন। বহু সাজানো-গোছানো শহর ধ্বংস হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পারমাণবিক সংঘাতের আশঙ্কাও প্রকাশ করছেন।
তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইউক্রেনে বিজয়ের জন্য রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। তবে রুশ সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা হুমকির মুখে পড়লে এই অস্ত্র ব্যবহার করা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ইউক্রেনে বিজয় নিশ্চিত করতে রাশিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করার দরকার নেই বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার জানিয়েছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপের সবচেয়ে মারাত্মক এই সংঘাত যে পারমাণবিক যুদ্ধে পরিণত হবে না, সে বিষয়ে এটিই এখন পর্যন্ত ক্রেমলিনের সবচেয়ে জোরালো ইঙ্গিত।
পুতিন বলেন, পরমাণু অস্ত্রের ব্যবহার কেবল ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই সম্ভব; যদি সেটি দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। আমি মনে করি না, এমন কোনো পরিস্থিতির এখনো সৃষ্টি হয়েছে। এমন অস্ত্র ব্যবহারের কোনো প্রয়োজন নেই।
ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলা শুরুর পর থেকেই ইউক্রেনকে ভারি অস্ত্রশস্ত্রসহ আর্থিক ও রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নানাভাবে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমাবিশ্ব। সম্প্রতি সেই অস্ত্রে রাশিয়ার ভূখণ্ডেও আঘাত হানার নির্দেশ দিয়েছে। বিষয়টির সমালোচনা করে গত বুধবার এক সাক্ষাৎকারে পুতিন বলেন, পশ্চিমাবিশ্বকেও আঘাত করার জন্য মস্কো তার মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ করবে।
তিনি বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো যদি রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায়, তা হলে আমাদেরও একই ধরনের আচরণ করার অধিকার রয়েছে। তবে এমনটা হলে পরিস্থিতি খুবই জটিল হবে।
এ সময় ইউক্রেন যুদ্ধে অস্ত্র সরবারহকারী দেশগুলোর নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, রাশিয়াও পশ্চিমাদের মতো যুদ্ধে মিত্রদের অস্ত্র সরবরাহ করবে। যদিও কোন কোন দেশে এ অস্ত্র সরবরাহ করা হবে তা উল্লেখ করেননি তিনি।
এনএইচ