ফেরেশতাদের আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত রেখেছেন। কেউ মানুষের আমলনামার হিসাব রাখেন, কেউ মানুষকে বিভিন্ন বিপদ-আপদ থেকে রক্ষা করেন। কেউ পরকালে জাহান্নামীদের শাস্তি দেওয়ার জন্য নির্ধারিত। কেউ কেউ আল্লাহ তায়ালার আরশ বহন করেন।
আল্লাহর আরশ বহনকারী ফেরেশতারা মুমিনদের জন্য আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হয়েছে—
اَلَّذِیۡنَ یَحۡمِلُوۡنَ الۡعَرۡشَ وَ مَنۡ حَوۡلَهٗ یُسَبِّحُوۡنَ بِحَمۡدِ رَبِّهِمۡ وَ یُؤۡمِنُوۡنَ بِهٖ وَ یَسۡتَغۡفِرُوۡنَ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۚ رَبَّنَا وَسِعۡتَ كُلَّ شَیۡءٍ رَّحۡمَۃً وَّ عِلۡمًا فَاغۡفِرۡ لِلَّذِیۡنَ تَابُوۡا وَ اتَّبَعُوۡا سَبِیۡلَكَ وَ قِهِمۡ عَذَابَ الۡجَحِیۡمِ
যারা (অর্থাৎ যে ফেরেশতাগণ) আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা তাঁর চারপাশে আছে, তারা তাদের প্রতিপালকের প্রশংসার সাথে তাঁর তাসবীহ পাঠ করে ও তাঁর প্রতি ঈমান রাখে এবং যারা ঈমান এনেছে তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করে (যে,) হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার রহমত ও জ্ঞান সমস্ত কিছু জুড়ে ব্যাপ্ত। সুতরাং যারা তাওবা করেছে ও তোমার পথের অনুসারী হয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করে দাও এবং তাদেরকে জাহান্নামের আজাব থেকে রক্ষা কর। (সূরা মুমিন, আয়াত : ৭)
পবিত্র কোরআনের এই আয়াত থেকে বুঝা যায়, আরশ বহনকারী ফেরেশতারা তিন শ্রেণির লোকদের জন্য দোয়া করে থাকে। তারা হলেন—
১. যারা ঈমান এনেছে।
২. যারা তওবা করেছে।
৩. যারা আল্লাহর পথের অনুসরণ করে।
এনএইচ