tnbd-logo tnbd-logo
tnbd-logo tnbd-logo-light
অর্থনীতি প্রকাশনার সময়: ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩৩ এএম

সরকার নির্ধারিত দাম কাগজে আছে, বাজারে নেই


egg-1_20241011_092233356

সেপ্টেম্বরে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু রাজধানীর বাজারে সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে ডিম।


সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কেবল কাগজে কলমে আছে। ফলে উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে ভুগতে থাকা সাধারণ মানুষের জীবনযাপনে আরও চাপ বেড়েছে।

গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রতি ডজন ডিম ১৪২ টাকা ও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি ১৭৯ টাকায় কেজি দরে বিক্রির ঘোষণা দেয় কৃষি বিপণন অধিদফতর। তারা জানিয়েছিল, পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও ওয়ার্ল্ড পোল্ট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশনসহ সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনা করেই এই দাম ঠিক করা হয়েছে।

বাংলাদেশ পোল্ট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল, বাংলাদেশ পোল্ট্রি খামার রক্ষা জাতীয় পরিষদ, অ্যানিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন এবং অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রেডিয়েন্টস ইমপোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডিং অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গেও আলোচনা করা হয়। তবে কোনো হিসাবের ভিত্তিতে তারা দাম নির্ধারণ করেছে তা জানায়নি কৃষি বিপণন অধিদফতর।

সরকারের দাম বেঁধে দেওয়ার প্রায় এক মাস হতে চললেও বাজারের এর কোনো প্রভাব নেই। উল্টো আরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে ডিম।

বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর রামপুর, মালিবাগ, বাড্ডা এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। এসব বাজারে দেখা যায়, ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও বড় ও ছোট ডিম আলাদা করে বিক্রি করতে দেখা গেছে। এসব বাজারে ছোট ডিম ১৬০ টাকা এবং বড় আকারের ডিম ১৮০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

ডিমের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, সম্প্রতি কয়েকটি জেলায় বন্যার কারণে অনেক মুরগির খামার নষ্ট হয়েছে। এতে ওই সব এলাকায় মুরগি ও ডিমের সরবরাহ কমেছে। আবার ভারত থেকে সম্প্রতি যে ডিম আমদানি হয়েছে, তা চাহিদার তুলনায় খুবই কম। ফলে সরবরাহ বৃদ্ধি না পাওয়ায় দাম কমছে না।

এর আগেও দাম বেঁধে দিয়ে বাজার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়েছিল। গত বছরের সেপ্টেম্বরে আলু, ডিম ও দেশি পেঁয়াজের দাম বেঁধে দিয়েছিল সরকার। কিন্তু ওই দাম বাজারে কার্যকর হয়নি।

এনএইচ