ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে নতুন ঘোষণা
Share on:
রাজশাহীর ফজলি আমের জিআই স্বত্ব নিয়ে নতুন ঘোষণা এলো। এ নিয়ে মঙ্গলবার (২৪ মে) বিকেলে শুনানি শেষে ‘রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম’ হিসেবে নতুন করে ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
শুনানি শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে আগামী রোববার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করার কথা রয়েছে।শুনানি শেষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রারের দফতর থেকে এই ঘোষণা দেয়া হয়। এ ব্যাপারে আগামী রোববার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করার কথা রয়েছে।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. আলীম উদ্দীন সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এই রায়ে কোনো পক্ষের আপত্তি থাকলে আগামী দুই মাসের মধ্যে তাদের আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তবে কেউ আদালতের আশ্রয় না নিলে আগামী দুই মাস পরে জিআই পণ্য ফজলি আমের নতুন জিওগ্রাফিক্যাল ইনডিকেশন বা ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে।
গত বছরের ৬ অক্টোবর ফজলি আমের ভৌগোলিক নির্দেশক (জিআই) নাম হয় ‘রাজশাহীর ফজলি আম’। রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই স্বীকৃতি মেলে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক তাদের দ্য জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশনের (জিআই) ১০ নম্বর জার্নালে (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন-২০১৩ এর ১২ ধারা অনুসারে তা প্রকাশ করা হয়। এই স্বীকৃতির জন্য ২০১৭ সালের ৯ মার্চ আবেদন করা হয়েছিল।
কিন্তু চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষ থেকে ফজলি আমকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের দাবি করে এর বিরোধিতা করা হয়।
এরই প্রেক্ষিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্যাটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতর মঙ্গলবার এই শুনানির আয়োজন করে। বেলা ১১টায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক অধিদফতরের রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত সচিব) যনেন্দ্রনাথ সরকারের সভাপতিত্বে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে ৫টার দিকে এই রায় ঘোষণা করা হয়। এরআগে অস্তিত্ব প্রমাণে ‘ফজলি’র ডিএনএ পরীক্ষাও করা হয়।
রাজশাহীর পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দীন। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের পক্ষে চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলমসহ অন্তত ছয়জন।
রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আলীম উদ্দিন আরো বলেন, এই রায়ের বিরুদ্ধে কোনো পক্ষ সংক্ষুব্ধ হলে আদালতে যেতে পারবেন। তবে রাজশাহীর জন্য কী করা হবে, সেটি পরে ভেবে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন। আপাতত রায় ঘোষিত আদেশই চূড়ান্ত বলে জানান তিনি।