‘আমদানি করলে ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে’
Share on:
আমদানি করে ডিমের দাম কমাতে চাইলে উলটো দাম বাড়বে। তখন ১২ টাকার ডিম ২০ টাকায় খেতে হবে। এ কথা বলেছেন, ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)-এর সহসভাপতি আনোয়ারুল হক।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) কার্যালয়ে বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) আয়োজিত কর্মশালায় এ কথা বলেন তিনি।
ওই কর্মশালায় বক্তারা বলেন, পোলট্রি শিল্পে যেসব কাঁচামাল ব্যবহার করা হয়, এর ৮৫ শতাংশই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। সম্প্রতি ডলারের দাম বৃদ্ধির কারণে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। এছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডলারের দাম ১০৯ টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকের কাছ থেকে ব্যবসায়ীদের কিনতে হচ্ছে ১১৪ টাকায়। ফলে ডলারের দাম না কমলে ডিম ও পোলট্রি মুরগির দাম কমানো কঠিন।
এতে আরো বক্তব্য দেন বিপিআইসিসির সভাপতি শামসুল আরেফিন খালেদ; ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি)-এর সভাপতি কাজী জাহিদ হাসান, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান; ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম; ওয়ার্ল্ড’স পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন-বাংলাদেশ শাখার সহসভাপতি মো. তৌহিদ হোসেন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (এফআইএবি)-এর সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, এনিমেল হেলথ কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (আহকাব)-এর সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আফতাব আলম, বাংলাদেশ অ্যাগ্রো ফিড ইনগ্রিডিয়েন্টস ইম্পোর্টার্স অ্যান্ড ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।
তারা বলেন, উৎপাদন খরচের বিপরীতে নায্য দাম না পাওয়া, অপপ্রচার এবং বাজার তদারকি সংস্থার চাপে প্রান্তিক খামারিরা দিনদিন আরও প্রান্তিক হয়ে পড়ছেন। ইতোমধ্যে অনেক খামার বন্ধ হয়ে গেছে। এতে কমেছে উৎপাদন। এ অবস্থা চলতে থাকলে ডিম-মাংসের উৎপাদন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হবে।
শামসুল আরেফিন খালেদ বলেন, ২০২২ ও ২০২৩ সালের বেশির ভাগ সময় খামারিরা লোকসান দিয়েছেন। উৎপাদন খরচের চেয়েও কম মূল্যে উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন। ঋণের বোঝা কাঁধে নিয়েও খামারিরা চেষ্টা করেছেন উৎপাদন সচল রাখতে। কিন্তু মধ্যস্বত্বভোগীরা অন্যায্য মুনাফা করেছে অথচ খড়্গ নেমেছে উৎপাদকদের ওপর।
তিনি বলেন, ‘এভাবে বাজারে স্থিতিশীলতা আসবে না। খামারিরা লাভ করতে পারলে যারা সরে গেছে তারা আবারও ফিরে আসবে। উৎপাদন বাড়লে বাজারও স্থিতিশীল হবে।
এমবি