ট্রিপল সেঞ্চুরি কাঁচামরিচের
Share on:
রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা। ঈদ উদযাপনে চলছে শেষ প্রস্তুতি। হেঁশেলের টুকিটাকিও বাকি রাখতে চাননি ঘরোনিরা। তাই ফাঁকা ঢাকার বাজারে এখনও রয়েছে বেশ ব্যস্ততা। মসলার পাশাপাশি সালাদের জন্য শশা, টমেটো, ক্যাপসিকামসহ কাঁচামরিচের চাহিদা আজ বেশি। তবে, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। কারণ, কেজিপ্রতি ২০০ টাকার কাঁচামরিচ একদিনের ব্যবধানে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩০০ টাকায়; কোথাও কোথাও তা বিক্রি হচ্ছে ৩২০ টাকাতেও।
রোববার (১৬ জুন) রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মুগদা, সেগুনবাগিচা, খিলগাঁও, মানিকনগর, হাতিরপুল ও মতিঝিলসহ বিভিন্ন এলাকার বাজার ঘুরে এ তথ্য জানা গেছে।
কারওয়ান বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, আকার ও জাত ভেদে কাঁচামরিচ ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ ক্রেতা কামরুজ্জামান সুমন বলেন, কোরবানি ঈদের সময় গোস্ত রান্না ও সালাদের মধ্যে কাঁচামরিচের ব্যবহার হয়। দুদিন আগেই কাঁচামরিচের দাম ছিল কেজিপ্রতি ২০০ টাকা। হুট করেই আজ তা ৩০০ টাকার বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া শসার কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা মেনে নেওয়া যায় না এবং কেনা কষ্টসাধ্য।
জালাল উদ্দিন নামে অপর এক ক্রেতা বলেন, দুদিনের মাথায় কোন যুক্তিতে ১০০ টাকার বেশি দাম বেড়ে যায় তা আসলে বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, ঈদের সময় আত্মীয়স্বজন বেড়াতে আসেন। অতিথি আপ্যায়নে সালাদ অনেকটাই অপরিহার্য হয়ে ওঠে। তা ছাড়া, গোস্ত, পোলাও, বিরিয়ানির সঙ্গে সালাদ না হলে চলে? কিন্তু, এতদাম বাড়লে কীভাবে আপ্যায়ন করব বুঝতেছি না।
রাজধানীর মনিকনগরে সবজি বিক্রেতা হারাধন দাশ বলেন, নতুন করে শসা ও কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। দুদিন আগে বৃষ্টি হয়েছে, এ ছাড়া ঈদের আগে গাড়ি ভাড়া বেশি ও সরবরাহ কম। দুদিন আগে এক পাল্লা (পাঁচ কোজি) কাঁচা মরিচ পাইকারি কেনা হতো ৮০০ টাকা; আজকে খরচসহ এক হাজার ১০০ টাকার ওপরে কেনা পড়েছে। তাই প্রতি কেজি বিক্রি করছি ৩০০ টাকা। তিনি বলেন, দুদিন আগে শসা বিক্রি করেছি ৬০ টাকায়। আজ হাইব্রিড শসা ১০০ এবং দেশি শসার দাম ১৩০ টাকা। তবে, লেবু দাম বাড়েনি। প্রতি হালি ছোট লেবু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। আর বড় সাইজের লেবু বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। সাধারণ সাইজের টমেটো প্রতি কেজি ১২০ টাকা আর। টক ও বড় সাইজের টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা।
এদিকে সবজির বাজারে দেখা গেছে বাজারে প্রতি কেজি কাঁকরোল ৭০ টাকায়, বরবটি ৮০ টাকায়, কচুমুখি ১০০ টাকায়, গাজর ৮০ টাকায়, পেঁপে ৫০ টাকায়, ধুন্দল, ঝিঁঙে ও করোলা প্রতি কেজি ৬০ টাকায়, লম্বা বেগুন ৬০ টাকায় ও গোল বেগুন ৭০ টাকায় ও পটল ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া, মিষ্টি কুমড়ার পিস সাইজ অনুযায়ী ২০ থেকে ৩০ টাকায় ও লাউ প্রতি পিস ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এমএইচ