‎স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার আমলে বিগত ১৬ বছরে আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনে বড় আয়োজনে ঈদুল ফিতর কিংবা ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হতো না। আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন মসজিদ কিংবা এর সামনের মাঠে ছোট আকারে ঈদের নামাজ আদায় করা হতো। তবে ছাত্র-জনতার জুলাই আন্দোলনের পর এ বছর বড় প্যান্ডেলে ঈদুল ফিতরের জামাতের আয়োজন করে কর্তৃপক্ষ। আজ কয়েক শতাধিক ধর্মপ্রাণ মুসল্লির উপস্থিতিতে এই ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

‎আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসা মো. সাইদুল কবির বলেন, সাঈদী ফাউন্ডেশন প্রতি বছরের মতো এবছরও ঈদের জামাত আয়োজন করেছে। তবে এবছর আয়োজন ছিল অনেক বড়। আগে মানুষ মনে একটা শঙ্কা নিয়ে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করতে আসত, তবে এবছর মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এখানে ঈদের নামাজ আদায় করেছে। আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশনের এ আয়োজনে আমরা মুসল্লিরা সবাই সন্তুষ্ট।

ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে আসা শাহরিয়ার আমীন সাগর বলেন, কোনো সন্দেহ নেই সম্পূর্ণ নতুন একটি পরিবেশে এরকম একটি আয়োজনে বিগত ১৬ বছরে এই ময়দানে এরকম একটি গণ ঈদের জামায়াত দেখিনি, কারণ আগে রাজনৈতিক পরিস্থিতি এমন ছিল, এখানে আসতে মানুষ শঙ্কিত বোধ করতো। কিন্তু এখন তা নেই। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে এই জায়গাটি তার স্বকীয়তা ফিরে পেয়েছে। তার প্রতিফলন দেখতে পেয়েছি শত শত মানুষের ভির এই ময়দানে।

‎এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ জহিরুল হক বলেন, আমরা বিগত ১৬ বছরে যে ঈদগুলো করেছি আসলে তখন আমরা এভাবে মন খুলে ইবাদত-বন্দেগি করতে পারিনি। আমরা আতঙ্কের মধ্যে কাটিয়েছি। আজকে আমরা ঈদ উদযাপন করেছি যেখানে আমরা গত বছরের তুলনায় দেড় গুণ বড় প্যান্ডেল তৈরি করেছি সেখানেও মানুষকে সামাল দিতে কষ্ট হয়েছে। জুলাই আন্দোলনের পর আজ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ঈদ উদযাপন করেছে।

এমএম