দিনব্যাপী চলা এই কার্যক্রমে সংগঠনের প্রায় ৫০ জনেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবক অংশগ্রহণ করেন। তারা পুকুরে মেডিকেল বর্জ্য, বাজারের দোকানের বর্জ্য, জমে থাকা জলজ আগাছা, প্লাস্টিক, পলিথিন, গৃহস্থালি বর্জ্যসহ নানাবিধ আবর্জনা সংগ্রহ করে পরিষ্কার করেন। স্বেচ্ছাসেবকদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমে পুকুরটি ফিরে পায় তার স্বাভাবিক রূপ এবং প্রাণচাঞ্চল্য।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল থেকে সংগঠনটির উদ্যোগে স্থানীয় চরবাটা খাসের হাট বাজারের একটি সরকারি পুকুরে ব্যাপক বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

সংগঠনের সভাপতি তারেক মুহাম্মদ শরীয়ত উল্যাহ বলেন, "পরিবেশ রক্ষা, স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক দায়িত্ববোধ জাগ্রত করার লক্ষ্যেই আমাদের এই উদ্যোগ। আমরা ভবিষ্যতে আরও বড় পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা নিয়েছি।"

উপকূলীয় পরিবেশ রক্ষা আন্দোলন এর সভাপতি আব্দুল বারী বাবলু বলেন, সরকারি ভাবে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা করার জন্য ইতোমধ্যে উপজেলা প্রশাসন ও জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করা হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে ভূমি চিহ্নিত করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই পুকুরটি দখলের জন্য বর্জ্য দিয়ে ভরাট করার সুযোগ খুঁজছে দখলদাররা। বাজারের দুটি পুকুর দখল করে মার্কেট করা হয়েছে। পাশের খালগুলো নিজেদের নামে রেকর্ড করে দখল করা হচ্ছে। আর বর্জ্য ফেলা হচ্ছে রাস্তায়, পুকুরে।

এসব বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা ও দখল -দূষণের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসনের কার্যকর ভূমিকা রাখার আহবান জানান স্থানীয়রা।

উপস্থিত থেকে কার্যক্রম তদারকি করেন সুবর্ণচর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) ছেংমং রাখাইন। তিনি তারুণ্যের চরবাটার এ উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করে বলেন, "এ ধরনের কার্যক্রম আমাদের সমাজকে পরিবেশবান্ধব করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারুণ্যের চরবাটার প্রচেষ্টা নিঃসন্দেহে অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হয়ে থাকবে।"

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘তারুণ্যের চরবাটা’ সংগঠনটি এলাকার উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে আসছে।

এমএম