এর আগে রোববার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল নং-১ এর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন এক নারী। আদালত বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে বিষয়টি তদন্তের জন্য আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আনোয়ারুল হক।

এ মামলার আসামিরা হলেন- বগুড়ার এরুলিয়া পশ্চিমপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে হিরো আলম, তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন ও আহসান হাবীব সেলিম।

মামলায় বাদীর অভিযোগ, অভিনয়ের সুযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন হিরো আলম। তারপর বিয়ের আশ্বাসে ধর্ষণ করে পরবর্তীতে মৌলভী ডেকে বিয়ে করে। এরপরে বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করেন তারা। এই সময়ের মধ্যে তার কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকা ধার নেন হিরো আলম। পরে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল তাকে বগুগড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন হিরো আলম। সেখানে তার গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।

হিরো আলম সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দিলে ভুক্তভোগী রাজি না হলে আসামিরা গত ২১ এপ্রিল মারধর করে রক্তাক্ত করেন তাকে। পরে ভুক্তভোগীকে বগুড়া শহরের একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। এরপর তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। এই হাসপাতালে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত চিকিৎসা নেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে হিরো আলম সাংবাদিকদের বলেন, সবাই আমাকে ফোনে বিষয়টি বলতেছে। আমি এখনও জানি না। তবে করলে করতে পারে। সে চক্রান্ত করে করাতে পারে। যেহেতু তাকে আমি ডিভোর্স দিয়েছি। সে হয়তো চাচ্ছে এরকম মামলা দিয়ে আমাকে আটকাতে। পরবর্তীতে হয়তো সে বলতে পারে তুমি সংসার করলে মামলা আমি ক্লিয়ার করে দেব। এরকম কিছু হতে পারে। এসব বিষ‌য়ে কথা বল‌তে আমি আপনাদের খুব শিগ‌গিরই ডাক‌ব।

এ বিষয়ে বগুড়া পিবিআইয়ের ইনচার্জ (পরিদর্শক) জাহিদ হোসেন বলেন, মামলার কাগজপত্র এখনও আমাদের কাছে আসেনি।

এনএইচ