বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের শ্রীনগরের সমষপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটিতে ৬০ জন যাত্রী ছিলেন। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
বাইকারের করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়েতে ছাদবিহীন একটি বাসের ছাদের অংশ ঝুলন্ত অবস্থায় বিপজ্জনকভাবে দ্রুত গতিতে চলছে। ভিডিও ধারণকারীরা তখন বলাবলি করছিলেন চালক হয় তো মারা গেছে। তাই দুর্ঘটনার পরও বাসটি চলছে।
আহমেদ আলী নামের বাসের এক যাত্রী বলেন, রাজধানীর সায়দাবাদ থেকে সাড়ে ৮টায় বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয় বাসটি। ঘণ্টা খানেক পর ঢাকা-মাওয়া সড়কে উঠলে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। তবে তখন তেমন কিছু হয়নি। এর দুই মিনিট পর কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এতে কযেকজন যাত্রী আহত হন। তারপরও চালক গাড়ি না থামিয়ে ওই অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে ৫ কিলোমিটার যান। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতার বাস থামিয়ে চালক পালিয়ে যান। আমরা গাড়িতে ৬০ জন যাত্রী ছিলাম। আল্লাহর রহমতে বেঁচে গেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, বরিশাল এক্সপ্রেস শ্রীনগরের সমষপুরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রথমে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। পরে একটি কাভার্ডভ্যানের সঙ্গে সংঘর্ষ হলে বাসের ছাদ উড়ে যায়। এ সময় কয়েকজন যাত্রী আহত হন। যাত্রীদের চিৎকারেও বাস থামাননি চালক। ছাদবিহীন বাস চালিয়ে পদ্মা সেতুতে না ওঠে পাশের সড়কে ঢুকে যায় বাস। যাত্রীদের চিৎকারে স্থানীয়রা লৌহজংয়ের কুমারভোগ এলাকার ছিদ্দিকীয়া মাদ্রাসার সামনে বাসটির পথরোধ করে থামায় এবং যাত্রীদের নিরাপদে নামিয়ে আনা হয়।
এ ব্যাপারে পদ্মা সেতুর উত্তর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন বলেন, স্থানীয়রা বাসটি আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন। শ্রীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গুরুতর আহত একজনকে চিকৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দিয়ে অন্য গাড়িতে গন্তব্যে পাঠানো হয় বলেও জানান তিনি।
এফএইচ