এ ঘটনায় বাসচালক রজব আলী ও বাসের সহকারী এমদাদুল হককে শনিবার ভোরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাভার মডেল থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার রাতে চন্দ্রা থেকে আসা বাসটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া হেমায়েতপুর সড়কে আসলে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কর্ণপাড়া ব্রিজের সামনে গাড়ি চলমান অবস্থায় বাসে থাকা যাত্রীবেশি কয়েকজন ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের মুখে সব যাত্রীকে জিম্মি করে। এ সময় যাত্রীদের কাছে থাকা নগদ টাকা, মোবাইল ফোন, স্বর্ণসহ আরও মূল্যবান জিনিসপত্র জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয় ডাকাতরা। পরে ডাকাতরা সাভারের তেঁতুলঝড়া ইউনিয়নের রাজফুলবাড়িয়া এলাকায় বাস থামিয়ে নেমে যান।

বাসযাত্রী সুমন সরকার জানান, আমি চন্দ্রা থেকে বাসে উঠেছি। পরে বাসটি সাভারে এসে পৌঁছালে উলাইল থেকে কয়েকজন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র ও ধারালো ছুরি দিয়ে বাস যাত্রীদের জিম্মি করে। এ সময় আমার কাছে থাকা ৩৫ হাজার টাকা ডাকাতরা নিয়ে নেয়।

এ ছাড়া বাসে থাকা অন্যান্য যাত্রী জানান, তাদের সঙ্গে থাকা নারীদের গলার চেইন, স্বর্ণালঙ্কার, মোবাইল ফোন ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে দুটি ব্যাগে ভোরে নিয়ে গাড়ি থেকে নেমে পালিয়ে যায়।

ইতিহাসের বাসচালক রজব আলী বলেন, বাসে কয়েকজন ডাকাত অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে যাত্রীদের থেকে মালামাল ও নগদ টাকা লুট করে নেয়। ডাকাতরা নেমে গেলে পরে যাত্রীরা ওই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। এ সময় আমি ও বাসের সহকারী এমদাদুল সড়কের পাশে লুকিয়ে থাকি।

ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সাভার সার্কেল) শাহীনুর কবির বলেন, অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে মালামাল লুটের একটি অভিযোগ পেয়েছি। এটা নিয়ে আমরা কাজ করা শুরু করে দিয়েছি। আমরা আশাবাদী অতিদ্রুত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।

তবে সারা রাত অভিযান চালিয়েও ডাকাতদের কাউকে গ্রেফতার বা মালামাল উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

এনএইচ