স্থানীয়রা জানায়, ওই কিশোরীর দাদা সোবাহান হাওলাদার নিজ হাতে নাতনীকে দাফনের জন্য কবর খোঁড়েন। এর আগে ছেলে জসিমের মরদেহ দাফনের জন্যও কবর খুঁড়েছিলেন তিনিই। পাংগাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার জানাযা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ধোপারহাট গ্রামে নিজ বাড়ি সংলগ্ন বাবার কবরের পাশেই দাফন করা হবে তাকে।
এদিকে, তার মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করছে। স্বজন ও এলাকাবাসী বাড়িতে ভিড় জমিয়েছেন। বাবার মৃত্যুর পর মেয়ের এমন মৃত্যু কিছুতেই মানতে পারছেন না তারা। ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত বিচার করে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী, এমন দাবি করে পরিবার। শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগে ময়নাতদন্ত হয় তার।
এর আগে, গত ১৮ মার্চ পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার পাঙ্গাসিয়া ইউনিয়নে শহীদের ওই কিশোরী মেয়েকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। এরপর ভুক্তভোগী তার মা ও পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ২০ মার্চ থানায় গিয়ে অভিযোগ করে। সন্ধ্যায় অভিযোগটি মামলা হিসেবে দায়ের হয়। মামলার এজাহারে উপজেলার একটি ইউনিয়নের দুজনের নাম উল্লেখ করা হয়। মামলা হওয়ার দিন রাতে এজাহারভুক্ত ১৭ বছর বয়সী কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। পরে ২১ মার্চ অন্য আসামিকে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এইচআর