মায়ের ইচ্ছা পূরণে বিলম্ব করেননি সন্তানরাও। আয়োজন করা হয় খাওয়া-দাওয়ার। কেনা হয় গরু ও খাসি। রান্না করা হয় ভাত, গরুর মাংস, মাছ, আলুর ঘন্টো ও খাসির মাংস। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এ আয়োজন করা হয়।

দুপুর ১২টা বাজতেই খাবারের প্যান্ডেলে আসা শুরু করেন এলাকার লোকজন। খাওয়া শেষে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় দোয়া ও মোনাজাত।

বানেছার বড় ছেলে জান মোহাম্মদ বলেন, ‘আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে আমার মা ৯৫ বছর বয়সেও এখনো সুস্থ-সবলভাবে চলাফেরা করছেন। মায়ের ইচ্ছার কথা শুনে আমরা ভাইবোন এমন উদ্যোগ নিয়েছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘১৩০০ মানুষের এমন আয়োজনে আমরা মাকে হাসি-খুশি দেখতে পেয়েছি। এতে আমাদের গর্বে বুকটা ভরে গেছে।’

এলাকার মুরুব্বি জহির উদ্দিন বলেন, ‘খাওয়া-দাওয়াটা বড় কথা নয়, এমন এক দৃষ্টান্ত আমাদের মনে বড় সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে তুলেছে। যা আমার এই বয়সেও মনে থাকবে।’

ঘুরে ঘুরে সবার খাওয়া-দাওয়া দেখছিলেন বানেছা বেগম। ৯৫ বছর বয়সেও চলাফেরা করতে পারেন তিনি। বানেছা বেগম বলেন, ‘মরার পরে যদি কেউ চল্লিশা না করে, তাই আগেই করলাম। তাতে সবাইকে খাওয়ানোও হলো, দোয়াও পেলাম। এখন মনে শান্তি লাগছে। মরার পরে না, বেঁচে থাকতেই মানুষের দোয়া পাওয়া যে কত সুন্দর!’

এমএম