রোববার রাত ১২টার দিকে উপজেলার চরবাটার ভূইয়ারহাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করে এসব জাটকা জব্দ করা হয়।

জানা যায়, সরকার প্রতি বছর ১ নভেম্বর থেকে পরবর্তী বছরের ৩১ মে পর্যন্ত জাটকা(২৫ সেমি নিচে) নিধন নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। এ সময়ে জাটকা নিধন, বিক্রি, সংরক্ষণ, পরিবহন আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী গরিব জেলেদের লোভ দেখিয়ে দাদন দিয়ে থাকে। লোভী জেলে বেশি লাভের আশায় সাগর থেকে জাটকা আহরণ করে ইলিশ প্রজনন কে ধ্বংস করে । দাদনের ঋণ শোধ করতে জেলেরা এ সময় জাটকা ইলিশ নিধন করে।

রোববার দিবাগত রাতে হাতিয়ার টাংকি বাজার থেকে এক পিকআপ জাটকা মাছ আসছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভূইয়ার হাট বাজারে অভিযান পরিচালনা করে ১২০০ কেজি(৩০ মণ) জাটকা জব্দ করে সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য অফিস। পরবর্তীতে মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়জুর রহমান ও সমাজসেবার সহযোগিতায় তা উপজেলার বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করেন।

সুবর্ণচর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. ফয়জুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বিশাল জাটকার চালান জব্দ করা হয়েছে। পরে মাছগুলো বিভিন্ন এতিমখানায় বিতরণ করা হয়। জাটকা নিধন রোধে একাধিকবার প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়েছে। এই মাছ বড় হলে জেলে-ব্যবসায়ী সবার ভালো হবে, মাছের চাহিদা পূরণ হবে কিন্তু সামান্য লোভে পড়ে জাটকা নিধন করা হয়। আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। জাটকা নিধন রোধে উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সব ধরনের অভিযান আমরা অব্যাহত রাখব।

তিনি আরো বলেন, এই জাটকা মাছগুলো পুনরায় বাজারে আসার সম্ভাবনা থাকার কারণে নিলামে দেওয়ার সুযোগ নেই, তাই জাটকা আমরা এতিমখানায় দান করে দিয়েছি।

এমএম