গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে খুলনা সিটি করপোরেশনের লাইসেন্স অফিসার রবিউল আলম রবি রয়েছেন। তাকে নগর ভবন থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটকের পর খুলনা থানায় হস্তান্তর করে। এছাড়া খালিশপুর থানায় ৭ জন, হরিণটানা থানায় ২২ জন এবং আড়ংঘাটা থানায় ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।
সোমবার দুপুর দুইটায় বিষয়টি নিশ্চিত করে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ আহসান হাবিব বলেন, রোববার খুলনায় বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলকে কেন্দ্রে করে খালিশপুর, হরিণটানা ও আড়ংঘাটা থানায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় দুপুর দুইটা পর্যন্ত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে নিষিদ্ধঘোষিত ছাত্রলীগ এবং যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী রয়েছেন। পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা বিভাগও অভিযান চালাচ্ছে। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন ডুমুরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলমগীর হোসেন, ফুলতলা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশরাফুল আলম, শিরোমনির ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী জাকারিয়া রিপন, ১৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. নুর ইসলাম, ১৭নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি মো. আসিফ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান, ১৬নং ওয়ার্ড গাবতলা ইউনিট আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবুজার অনিক, যুবলীগের সদস্য মো. রকিবুল ইসলাম, ১৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ মেহেদী হাসান এবং যুবলীগ সদস্য রুহুল আমিন, নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী মো. ওয়ালিদ হাসান ইমন।
এফএইচ