বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) জিনিয়াকে ওএসডি করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। সম্প্রতি জিনিয়া ও তার স্বামী মিনহাজের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ জমা পড়ে দুদকে।
মাঝে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয় মিনহাজের বড় বড় পদ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে একাধিক রাজনীতিবিদের সঙ্গে ফোনালাপ। যা নিয়ে আলোচনা শুরু হলে গত ২৭ মার্চ মিনহাজকে গ্রেফতার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এবার ওএসডি করা হলো তার স্ত্রী জিনিয়াকে।
ক্ষমতার অপব্যবহার করে মিনহাজ ও তার স্ত্রী জিনিয়ার নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, মামলা বাণিজ্য, হয়রানি, অবৈধ সম্পদ অর্জন ও পাচারের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অপরাধ করতে আমলা, পুলিশ, রাজনীতিবিদ ও বিচার বিভাগকে ব্যবহারের বিষয়েও অভিযোগে তুলে ধরা হয়।
রোববার (২৩ মার্চ) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশনে ভুক্তভোগী এক ব্যক্তি এমন অভিযোগ দায়ের করেন। ৪০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে মোট ১৩টি অভিযোগ করেছেন ওই ব্যক্তি।
অভিযোগে বলা হয়, পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব জিনিয়া জিন্নাত ও তার কথিত স্বামী আশরাফুজ্জামান ওরফে মিনহাজ উদ্দিন ক্ষমতার অপব্যবহার, জালিয়াতি, প্রতারণা, মানুষকে ভয় দেখিয়ে এবং নিরীহ ব্যক্তিদের মামলায় যুক্ত করাসহ অবৈধভাবে টাকা উপার্জন, পাচার ও হয়রানি করে আসছেন। অনুসন্ধান সাপেক্ষে তাদের কঠোর শাস্তি হওয়া জরুরি।
অন্যদিকে মিনহাজ উদ্দিন কখনো নিজেকে দেশে ছেড়ে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ বলে পরিচয় দিতেন। শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের উপদেষ্টা হিসেবেও পরিচয় দিতেন। আবার রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে পরিচয় দিয়ে বিএনপি নেতাদের বড় পদ দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া শুরু করেছিলেন। শুধু তাই নয়, সরকারি চাকরিতে ভালো পোস্টিং, পদোন্নতি দেওয়ার লোভ দেখিয়ে হাতিয়ে নিতেন টাকা।
গত ২৬ মার্চ রাতে শরীয়তপুরের নড়িয়া থেকে মিনহাজকে আটক করে সেনাবাহিনীর একটি টিম।
অভিযোগ আছে, বিসিএস ক্যাডার ‘কথিত’ স্ত্রীর প্রভাব দেখিয়ে ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে মিথ্যা মামলার আসামি করে আবার ভুক্তভোগীদের সহযোগিতার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়াই তার মূল পেশা।
এমএম