বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বঙ্গোপসাগরে জলদস্যুদের কবলে পড়া ওই চারটি ট্রলার ও আহত জেলেদের উদ্ধার করে পাথরঘাটা দক্ষিণ জোন অধীন কোস্ট গার্ড সদস্যরা। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আহতদের নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বেল্লাল নামে এক জেলেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

এর আগে বুধবার (৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে ভোলা জেলার অন্তর্ভুক্ত বঙ্গোপসাগরের ঢালচর ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী স্থানে এ ঘটনা ঘটে।

পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আহত জেলেরা হলেন— পাথরঘাটা উপজেলার বড় টেংরা এলাকার মো. মনির হোসেন মাঝি (৩৫), কালমেঘা এলাকার মো. বেল্লাল (৪০), মো. আবুল কালাম (৫০), ছোনবুনিয়া কালমেঘা এলাকার মো. বেল্লাল (৩১) বরগুনা সদর উপজেলার চরকগাছিয়া এলাকার মো. জাহিদ (২২), নলি এলাকার মো. ইব্রাহিম (৩০), আজোকাঠি এলাকার মো. ইলিয়াস (২০) এবং নলি সাজিপাড়া নামক এলাকার বাসিন্দা মো. মোস্তফা (৬০)।

পুলিশ ও ভুক্তভোগী জেলেদের সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে বঙ্গোপসাগরের ঢালচর ও হাতিয়ার মধ্যবর্তী এলাকায় একসঙ্গে প্রায় পাঁচ থেকে ছয়টি ট্রলারের জেলেরা মাছ শিকার করছিলেন। এ সময় বিভিন্ন ধরনের দেশীয় অস্ত্র ও বন্দুকসহ মুখোশ পরিহিত ২৫ থেকে ৩০ জন জলদস্যু একে একে চারটি ট্রলারে হামলা চালিয়ে জেলেদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করেন। পরে ট্রলারগুলোতে থাকা মাছ, নগদ অর্থ এবং জেলেদের মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এ সময় জেলেরা বাধা দিলে সাত জনকে মারধরসহ এক জেলেকে শট গান দিয়ে গুলি করে জলদস্যুরা। ডাকাতি শেষে চারটি ট্রলারের ইঞ্জিন বিকল করে পালিয়ে যান তারা। পরে এ ঘটনার খবর পেয়ে হামলার শিকার ট্রলার এবং জেলেদের উদ্ধার কোস্টগার্ড সদস্যরা।

পাথরঘাটা কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, খবর পেয়ে ডাকাতির শিকার ৪টি ট্রলারসহ জেলেদেরকে উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, বঙ্গোপসাগরে যে এলাকায় জলদস্যুদের হামলার ঘটনা ঘটেছে তা আমাদের এলাকায় পড়েনি। এ কারণে ওই এলাকার সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তবে ট্রলারগুলোতে থাকা অধিকাংশ জেলেরাই পাথারঘাটার বাসিন্দা হওয়ায় যদি কেউ আমাদের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন, তাহলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এনএইচ