সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকালে বাঘাইকান্দী গ্রামের কাইয়ুম (২১) ও মুন্নার (২২) সঙ্গে নৌকাযোগে ঘুরতে যায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী। সন্ধ্যার দিকে নৌকা তীরে ভিড়িয়ে ওই দুজনকে পূর্ব বাঘাইকান্দি এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। পরে কাইয়ুম ও মুন্না তাদের আরও ছয় বন্ধুকে ডেকে আনে। বন্ধুরা সবাই মিলে ভয়ভীতি দেখিয়ে দুই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে চলে যায়। ওই দুই স্কুলছাত্রী নিজ নিজ বাড়ি গিয়ে পরিবারকে বিষয়টি জানান।

অভিযুক্ত কাইয়ুম চরআড়ালিয়া গ্রামের সেন্টু মিয়ার ছেলে এবং মুন্না একই গ্রামের শাহ মিয়ার ছেলে। বাকিরা হলেন- বাঘাইকান্দী গ্রামের কাদির মিয়ার ছেলে সাইফুল মিয়া, একই গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে রমজান মিয়া ও অজ্ঞাত আরও চারজন।

কাইয়ুম ও মান্নার সঙ্গে ওই দুই স্কুলছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী এক স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, ‘আমরা চেয়ারম্যানের কাছে বিচার চেয়েছি। চেয়ারম্যান বলেছেন, বিচার করে দেবেন। আমরা বিচারের অপেক্ষায় আছি। পুলিশি ঝামেলায় যেতে চাই না। এ ছাড়া মেয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করছি।’

আরেক ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সঙ্গে পারব না। এ ছাড়া মেয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নেব। আমি গরিব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, থানা পুলিশ করার মতো সামর্থ্য আমার নেই।’

এ বিষয়ে চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, ‘তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছেন। সব বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসব।

ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম্য আদালতে মীমাংসা করা যায় কিনা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।

রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। এ ছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এমএম