বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মো. আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে আগামী সাত দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সোমবার (৭ এপ্রিল) সকালে সব ক্লাস ও পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে ডা. সুলতানা আলগিন সেই নির্দেশনা অমান্য করেই এমডি কোর্সের শিক্ষার্থীদের ক্লাসে উপস্থিত থাকতে জোর করেন এবং অনুপস্থিত থাকলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বন্ধ বা ফেল করিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন বলে অভিযোগ করেন একাধিক শিক্ষার্থী। এছাড়া ডা. সুলতানা আলগিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপব্যবহার, মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ এবং ধর্মীয় বৈষম্যের অভিযোগ রয়েছে।

ডা. সুলতানা আলগিনের বিষয়ে বিএমইউর ভিসি অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্তে কমিটি গঠিত হয়েছে, তারা রিপোর্ট দেবে। এর আলোকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিএমইউ ভিসি বলেন, ‘৭ এপ্রিল আমরা নোটিস দিয়েছি, সাধারণত কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত না নিলেও শিক্ষার্থীদের এ রকম কোনো কর্মসূচি থাকলে আমরা ক্লাস করতে যাই না। সব বিশ্ববিদ্যালয় এ ধরনের সংহতি প্রকাশের ঘোষণা দেয়নি। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর ও বিএমইউ এ ঘোষণা দিয়েছে। আমাদের নোটিসের আগেই গণহত্যার প্রতিবাদ হিসেবে অনেক শিক্ষক ক্লাস নেওয়ার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

এসব অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ডা. সুলতানা আলগিনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তার সাড়া মেলেনি।

এমএম