বুধবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আখতার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, সিআইবি প্রতিবেদন সংগ্রহ না করে এবং মর্টগেজ সম্পত্তি সরেজমিনে পরিদর্শন বা মূল্য যাচাই না করেই অস্বাভাবিক অতি মূল্যায়নের মাধ্যমে সদ্য নিবন্ধিত একটি কোম্পানির (শ্রীপুর টাউনশিপ লিমিটেড) নামে বন্ডের মাধ্যমে এক হাজার কোটি টাকা উত্তোলন করা হয়। এই অর্থের মধ্যে প্রথমে চলতি হিসাবে জমা হয়, এরপর ২০০ কোটি টাকার এফডিআর করা হয় এবং বাকি ৮০০ কোটি টাকা স্থানান্তর করা হয় বেক্সিমকো ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে। সেখান থেকে সন্দেহজনক লেনদেনের মাধ্যমে নগদ উত্তোলন করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং করা হয়।
এ ঘটনায় দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/৪৭৭(ক)/১০৯ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন : ১. মো. মশিউজ্জামান; ২. তিলাত শাহরিন; ৩. সালমান এফ রহমান; ৪. আহমেদ শায়ান ফজলুর রহমান; ৫. মো. শাহ আলম সারোয়ার; ৬. সুধাংশু শেখর বিশ্বাস; ৭. রাবেয়া জামালী; ৮. এ.আর.এম নাজমুস সাকিব; ৯. কামরুন নাহার আহমেদ; ১০. গোলাম মোস্তফা; ১১. মো. জাফর ইকবাল; ১২. শিবলী রুবাইয়াত উল ইসলাম; ১৩. রুমানা ইসলাম; ১৪. মিজানুর রহমান; ১৫. শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ; ১৬. মো. আবদুল হালিম; ১৭. সৈয়দ মনসুর মোস্তফা; ১৮. শাহ মো. মঈনউদ্দিন; ১৯. মো. রফিকুল ইসলাম; ২০. গীতাঙ্ক দেবদীপ দত্ত; ২১. মো. নূরুল হাসনাত; ২২. মনিতুর রহমান; ২৩. মোহাম্মদ শাহিন উদ্দিন; ২৪. নাজিমুল হক; ২৫. হোসাইন শাহ আলী; ২৬. সরদার মো. মমিনুল ইসলাম, ; ২৭. নিমাই কুমার সাহা; ২৮. মো. মিজানুর রহমান; ২৯. আয়েশা সিদ্দিকা; ৩০. সিলভিয়া চৌধুরী।
এরা সবাই বিএসইসি, আইএফআইসি ব্যাংক, সন্ধানী লাইফ ইনস্যুরেন্স সংশ্লিষ্ট।
এমএম