আহতরা হলেন- ফাহাদ মহাজন (১৭), ফজলে হাসান (২৪), আদিব (২২), লিওন (২৫), তানভীর ইসলাম তুহিন (২৪), সাফাত (১৮), নিবিড় তালুকদার (১৮) এবং ইসমাইল সরকার (২৫)।
মঙ্গলবার দুপুর পৌনে তিনটার দিকে তিব্বতের প্রধান সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। পরে তারা মহাখালী থেকে সাতরাস্তা পর্যন্ত সড়ক বন্ধ করে দেন। এসময় বিক্ষোভকারীরা সড়ক ডিভাইডার ভেঙে এবং ট্রাফিক বিভাগের ব্যারিকেড দিয়ে আশপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য করেন। তার ফাঁসির প্রতিবাদে তারা বিক্ষোভ করছেন।
বিক্ষোভকারীরা আরও দাবি করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত অভিযোগকারীকে ফাঁসি দেওয়া না হবে ততক্ষণে পর্যন্ত তারা সড়ক ছাড়বেন না।
পুলিশ ও কোহিনূর কেমিক্যাল কোম্পানির সূত্র জানায়, অভিযুক্ত কোহিনূর কেমিক্যালের কর্মরত কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার ওসি গাজী শামীমুর রহমান বলেন, কোহিনূর কেমিক্যালের এক কর্মকর্তা রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে নিয়ে কটূক্তির অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। তারা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তবুও তারা সড়ক ছাড়ছে না। তাদের দাবি অভিযুক্তকারীকে ফাঁসি দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আমি এবং আমাদের ডিসি স্যারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা কথা বলেছি। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটির জিএমও কথা বলেছে। তারা চাচ্ছে অভিযুক্তকারীকে এখনই ফাঁসির ব্যবস্থা করতে হবে। আসলে এ বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে তৃতীয় কোনও পক্ষ ইন্ধন দিচ্ছে। যার ফলে তারা কোনও আইনকানুন মানতে চাইছে না।
এদিকে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া জন্য বিপুলসংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের পাশাপাশি সেনাবাহিনী সদস্যরাও রয়েছেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে।
এমএম