বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ এপ্রিল ফতুল্লার মডেল থানাধীন গাবতলী প্রাইমারি স্কুলের পাশের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার একটি রুমে ডেকে নিয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে; যা নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত হলে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। পরে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন- মাহিম (৩০), নজরুল (৩৫), সজীব ওরফে বদনা সজীব (৪০), নয়ন -(৩০), অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জন।

প্রাথমিক অনুসন্ধানে এবং এজাহার পর্যালোচনায় জানা যায়, ভুক্তভোগীর বিয়ের আগে অভিযুক্ত মাহিম নামে এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পরে অন্যত্র বিয়ের পর বিভিন্ন সময় রাস্তাঘাটে ভুক্তভোগীকে উত্ত্যক্ত করতেন মাহিম এবং মাঝে মধ্যে কুপ্রস্তাব দিতেন।

এর ধারাবাহিকতায় ৯ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সদর উপজেলার গাবতলী এলাকায় কোলের শিশুকে জিম্মি করে ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে মাহিম ও এজাহারনামীয় অন্য আসামির সহায়তায় ওই দিন কয়েক দফায় ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করে। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

ভুক্তভোগীর স্বামী জানান, রমজানের আগে তার স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে ইসদাইর গাবতলী লিংক রোড দিয়ে যাওয়ার সময় ইসদাইর বটতলা এলাকার সজিব ওরফে বদনা সজিব, গাবতলী মাজার এলাকার রাকিব ওরফে মাইন, জাকারিয়া প্রকাশ নয়ন ও নজরুলসহ অজ্ঞাত দুজন সহযোগী তার সন্তানকে জিম্মি করে স্ত্রীকে ধর্ষণ করে। এ সময় অভিযুক্তরা ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে আরও কয়েক দফা ধর্ষণ করে।

সর্বশেষ ৯ এপ্রিল ফতুল্লা মডেল থানাধীন গাবতলী প্রাইমারি স্কুলের পাশের পাঁচতলা বাড়ির নিচতলার একটি রুমের ভেতরে ডেকে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগী কান্নাকাটি করলে অভিযুক্তরা তাকে বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এরপর ভুক্তভোগী বিষয়টি তার স্বামীকে জানান এবং ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।

পরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত এজাহারনামীয় ৪নং আসামি জাকারিয়া প্রকাশ নয়নকে গ্রেফতার করা হয়।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এমএম