বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ওয়ার্ল্ড ব্যাংক কার্যালয়ের বাংলাদেশ মিশন অফিসে গণমাধ্যমের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
বাজেট সাপোর্ট প্রসঙ্গে গভর্নর বলেন, যে বাজেট শেষ হতে যাচ্ছে তার দেনা যাতে কম হয় সে কাজ করছি। আমরা বাজেট সাপোর্ট বাড়াতে চাচ্ছি। অনেক প্রগ্রেস হয়ে গেছে। মোটামুটি সব শেষ। এখন আইএমএফ এর সঙ্গে ফাইনাল হয়ে যাবে। আইএমএফ টাকা ছাড় করা শুরু করবে। আড়াই থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন হবে।
ব্যাংক পুনর্গঠন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকগুলো পুনর্গঠন করা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য। যে ব্যাংকগুলো ভালো কাজ করছে... ইউসিবিএল ভালো চলছে। ইসলামি ব্যাংক ভালো কাজ করছে। আরও কিছু কাজ করার আছে। ব্যাংকগুলো যাতে ভালোভাবে চলে, দুর্বৃত্তদের হাত থেকে বের হতে পারে সে কাজ করা হচ্ছে। যেমন, এনআরবিসি ব্যাংক ভালোভাবে চলবে। আমরা শুধু গভর্নেন্স ইম্প্রুভ করে দিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ সভায় আমরা ব্যস্ত সময় পার করছি। আমাদের অনেক প্রগ্রেস হয়েছে। আমরা কান্ট্রি ও সংস্থাদের সঙ্গে বসেছি। জাপান ও ইউএস ব্যাংক কমিউনিটির সঙ্গে বসেছি। এলডিসি গ্রাজুয়েশন হচ্ছি। ফলে স্বল্প সুদে বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ মিলবে না। তাই আমরা বিকল্প চ্যানেল খুঁজছি।
আইএমএফের ঋণ কর্মসূচির আওতায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত তিনটি কিস্তিতে ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে। বাকি রয়েছে আরও ২৩৯ কোটি ডলার। আলোচনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর জানান, কিছু কাঠামোগত সংস্কারের শর্ত থাকলেও বাংলাদেশ এগুলোর অনেকটাই পূরণ করেছে। তাই পরবর্তী কিস্তি পাওয়া নিয়ে বড় কোনো অনিশ্চয়তা নেই। সামনে মিটিং হবে। এর পরেই সব কিছু ফাইনাল হয়ে যাবে।
এফএইচ