এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে করপোরেট ব্লগ এফএক্সস্ট্রিট।
শুক্রবার সকালে এশিয়ার বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম নেমে এসেছে ৩ হাজার ২৩৫ ডলারে। এটি গত দুই সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন দর।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ার কয়েকটি বড় বাণিজ্য অংশীদারের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমিত হওয়ায় বিশ্ববাজারে স্বস্তি ফিরেছে। এর প্রভাবে বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের দিকে ঝুঁকছেন। নিরাপদ সম্পদ হিসেবে পরিচিত সোনার প্রতি তাদের আগ্রহ কমে আসছে।
ভারত, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তির পথে তার প্রশাসন অগ্রসর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ ছাড়া চীনের সঙ্গে ১৪৫ শতাংশ শুল্ক পুনর্বিবেচনার আলোচনা শুরু হয়েছে বলেও খবর দিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এসব খবরে বাজারে স্বস্তির হাওয়া বইলেও ছাপ পড়েছে সোনার দামে।
এদিকে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্যান্য মুদ্রায় লেনদেন করা বিনিয়োগকারীদের কাছে সোনা এখন কম আকর্ষণীয়।
ইউবিএসর বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, ‘বাজার এখন মনে করছে বাণিজ্য উত্তেজনা কমছে। সেই সঙ্গে ফেডের নীতিনির্ধারণ নিয়ে উদ্বেগ কমেছে, যার ফলে নিরাপদ সম্পদের চাহিদাও কমে গেছে।’
তবে চূড়ান্ত চিত্র নির্ভর করছে আজ প্রকাশিতব্য এপ্রিল মাসের চাকরির প্রতিবেদনের ওপর।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চাকরির খবরে যদি দুর্বলতা ধরা পড়ে, তবে ডলারের দাম কমতে পারে। এতে আবার বাড়তে পারে সোনার দাম।
এরই মধ্যে বুধবার প্রকাশিত মার্কিন জিডিপি প্রত্যাশার চেয়ে দুর্বল এসেছে, যা ফেডের নীতিতে হার কমানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করছে শুক্রবার প্রকাশিতব্য এপ্রিল মাসের চাকরির (এসএফপি) প্রতিবেদনের ওপর।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি ওই প্রতিবেদন দুর্বল আসে, তবে মার্কিন ডলারের দাম কমবে এবং এতে সোনার দাম আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সূত্র : এফএক্সস্ট্রিট
এইচআর