শনিবার (৩ মে) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, সিডনিতে সমর্থকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে আলবানিজ বলেছেন, অস্ট্রেলিয়ানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ লেবার সরকারকে নির্বাচিত করেছে। বিশ্বব্যাপী অনিশ্চয়তার এই সময়ে, অস্ট্রেলিয়ানরা আশাবাদী। নাগরিকরা অস্ট্রেলিয়ান পদ্ধতিতে বিশ্বব্যাপী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

দেশটির নির্বাচনে লেবার পার্টির প্রার্থী আলী ফ্রান্স ডিকসন আসন লাভ করার পর প্রধান বিরোধী দল লিবারেল পার্টির নেতা পিটার ডাটন আলবানিজকে নির্বাচনে জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান। তিনি ফোনে আলবানিজকে তার জয় উদযাপনে শুভেচ্ছা জানান।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে আলবানিজের দল লেবার পার্টি দেশের জীবনযাত্রার ব্যয় এবং আবাসন সংকটকে প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলে ধরেছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অস্থির কূটনৈতিক নীতি নিয়ে অস্ট্রেলীয় ভোটারদের মধ্যে কিছুটা হতাশা তৈরি হয়েছিল, কারণ অস্ট্রেলিয়া যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র হলেও ট্রাম্প শুল্ক আরোপে ছাড় দেননি।

এছাড়া লেবার পার্টি এবারের নির্বাচনে রক্ষণশীল প্রতিদ্বন্দ্বী পিটার ডাটনকে ‘ট্রাম্পের মতো একজন রক্ষণশীল নেতা’ হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছিল, যা সফলও হয়েছে। লেবার পার্টির এই প্রচারণা অস্ট্রেলিয়ানদের কাছে বিশেষভাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে ওঠে।

অস্ট্রেলিয়ার স্থানীয় সময় শনিবার (৩ মে) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ১ কোটি ৮০ লাখ ভোটারের মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক ৮০ লাখের বেশি ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন ।

এইচআর