ইরানি সংবাদ সংস্থা ইরনার মাধ্যমে ইরানের জরুরি সেবার একজন মুখপাত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আহতদের হরমুজগান প্রদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরণের পরপরই অনেকে ধারণা করতে থাকেন সেখানে নাশকতার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার মুখপাত্র হোসেন জাফারি জানিয়েছেন, নাশকতার আলামত পাওয়া যায়নি।
তিনি বার্তা সংস্থা আইএলএনএ-কে জানিয়েছেন কনটেইনারের ভেতর থাকা রাসায়নিক বস্তুর কারণে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতে পারে।
জাফারি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণ নিয়ে অনেক গুজব ছড়ানো হচ্ছে। সেগুলোতে বিশ্বাস না করে সরকারি তথ্যের জন্য সবাইকে অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, বিষাক্ত ধোঁয়ার কারণে সেখানে উদ্ধার অভিযান ব্যহত হচ্ছে। আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর প্রকৃত হতাহতের তথ্য জানা যাবে। তবে এখন পর্যন্ত কারও মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কিন্তু বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই শক্তিশালী ছিল যে এটি প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরেও অনুভূত হয়েছে।
সরকারি বার্তাসংস্থা ফার্স নিউজ জানিয়েছে, ছোট একটি আগুন থেকে সবকিছুর সূত্রপাত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আগুনটি দ্রুত সময়ের মধ্যে অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। যেটির প্রভাবে বিশাল বিস্ফোরণ হয়। সেখানকার আবহাওয়া অত্যাধিক গরম এবং দাহ্য পদার্থ থাকায় বিস্ফোরণের তীব্রতা বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, যেসব কনটেইনারে বিস্ফোরণ হয়েছে সেগুলোর ভেতর কী ছিল তা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে সেখানে সালফার জাতীয় পদার্থের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।
প্রথম বিস্ফোরণের পর সেখানে আরও বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে এ মুহূর্তে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে জানিয়েছে সরকারি সংবাদমাধ্যম। উদ্ধারকারীরা হতাহত ও যানবাহন সরানোর কাজ করছেন।
ইরানি বার্তাসংস্থা ইরনা দেশটির সরকারি সূত্রের বরাতে জানিয়েছে, এটি ইরানের সবচেয়ে আধুনিক সামুদ্রিক বন্দর। যা হরমুজগানের প্রাদেশিক রাজধানী বন্দর আব্বাস থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে এবং হরমুজ প্রণালীর উত্তর দিকে অবস্থিত। যেখান দিয়ে পৃথিবীর মোট উৎপাদিত তেলের পাঁচ ভাগের এক ভাগ পরিবহন করা হয়।
এমএম