এক ইসরাইলি কর্মকর্তা বলেছেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্টিভ উইটকফ আলোচনার বিষয়ে কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মারকে ব্রিফ করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই সপ্তাহান্তে ওমানে প্রথম দফা আলোচনা থেকে ট্রাম্প প্রশাসন সন্তুষ্ট। এটিকে আট বছরের মধ্যে মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ের সংলাপ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর আগে বলেছে,আলোচনার পরবর্তী দফা ‘পরোক্ষ’ হবে। যদিও অ্যাক্সিওস জানিয়েছে যে উইটকফ এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি শনিবার প্রায় ৪৫ মিনিট কথা বলেছেন এবং হোয়াইট হাউস এই ধরনের সরাসরি সংলাপ চালিয়ে যেতে চায়।

শনিবার (১২ এপ্রিল) ওমানের রাজধানী মাসকাটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনাটি ‘ইতিবাচক’ ও ‘গঠনমূলক’ হয়েছে বলে জানা গেছে। । বৈঠকের বিষয়ে মধ্যস্থতা করেছেন ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আলোচনার বিষয়ে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে বলেছেন, আমার মনে হয়, আমরা আলোচনার রূপরেখার খুব কাছাকাছি আছি। আর যদি আগামী সপ্তাহে এই ভিত্তির বিষয়ে সমঝোতায় পৌঁছতে পারি, তবে সেটি একটি বড় অগ্রগতি হবে এবং আমরা সেই ভিত্তির ওপর বাস্তব আলোচনা শুরু করতে পারব। তবে সম্ভাবনা রয়েছে।

তিনি জানান, আলোচনা ‘শান্তিপূর্ণ ও ইতিবাচক পরিবেশে’ হয়েছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য হলো—আঞ্চলিক উত্তেজনা কমানো, বন্দি বিনিময়, ও কিছু সীমিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিনিময়ে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণ।

আরাঘচি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম মেয়াদ থেকে এ পর্যন্ত এটি ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম আলোচনা। ‘উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ এবং ইতিবাচক পরিবেশে’ এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘উভয় পক্ষ আগামী শনিবার আবার আলোচনায় বসতে সম্মত হয়েছে। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই স্বল্পমেয়াদে একটি সমঝোতা চায়। আমরা শুধু আলাপ-আলোচনার জন্য আলোচনা করতে চাই না।’

হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে জানায়, ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য দূত স্টিভেন উইক ওমানে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আনা এসক্রোগিমা এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্বাস আরাঘচিকে নিয়ে অনুষ্ঠিত আলোচনা ‘খুবই ইতিবাচক ও গঠনমূলক’ হয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জটিল, তবে আজ বিশেষ দূত উইটকফের সরাসরি যোগাযোগ পারস্পরিক উপকারে পৌঁছানোর পথে একটি অগ্রগতি। উভয় পক্ষ আবার আগামী শনিবার সাক্ষাৎ করতে সম্মত হয়েছে।

এমএম