রোববার (২৭ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে তাদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৬ জন নিহতের সেই পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত।
পাকিস্তানের পানি সরবরাহ বন্ধ করার সিদ্ধান্তের পরে বিজেপি এমপি নিশিকান্ত দুবে একই ধরনের পদক্ষেপ বাংলাদেশ নিয়েও গ্রহণের দাবি জানান। তিনি ১৯৯৬ সালে কংগ্রেস সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত গঙ্গা পানি চুক্তিকে ‘ভুল সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন।
নিশিকান্ত দুবে বলেন, গঙ্গার পানির চুক্তি ছিল একটি ভুল সিদ্ধান্ত, যা কংগ্রেস সরকার করেছিল। এখন সময় এসেছে এসব ভুল শোধরানোর। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কতদিন আমরা সাপেদের পানি দিয়ে যাব? তাদের পিষে ফেলার সময় এসেছে।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে লস্কর-ই-তৈয়বার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে। এই সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক ঠেকাতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সুরক্ষিত করার উপর তিনি জোর দেন।
দুবে আরও বলেন, লস্কর-ই-তৈয়বা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারে সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে। সন্ত্রাসী অনুপ্রবেশ রোধে আমাদের উভয় দেশের সীমান্ত আরও নিরাপদ করতে হবে।
এ প্রসঙ্গে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নিতীশ কুমার ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগের অবস্থানের কথাও স্মরণ করিয়ে দেন।
দুবে বলেন, নিতীশ কুমার বহুবার বলেছেন, বাংলাদেশকে পানি সরবরাহ বন্ধ করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তিস্তা চুক্তির বিরোধিতা করেছিলেন। বাংলাদেশ যদি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর প্রতি সমর্থন না বন্ধ করে, তাহলে আমাদেরও তাদের পানি সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।
পেহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কঠোর অবস্থানের প্রশংসা করে নিশিকান্ত দুবে বলেন, পেহেলগাম হামলার পর প্রধানমন্ত্রী মোদির ক্ষোভ ছিল স্পষ্ট। তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সন্ত্রাসবাদীদের এমন শাস্তি দেওয়া হবে, যা তারা কল্পনাও করতে পারবে না। ১৪০ কোটি ভারতীয়ের সমর্থন মোদির পেছনে রয়েছে এবং বিশ্ববাসীও তাকে এক শক্তিশালী নেতা হিসেবে দেখে।
প্রসঙ্গত, পেহেলগাম হামলার পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একাধিক পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে ভারত। ১৯৬০ সালের সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করা, পাকিস্তানি নাগরিকদের জন্য ভিসা বাতিল, বাণিজ্য স্থগিত করা এবং দেশটির সঙ্গে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানও ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করেছে এবং নিজের আকাশসীমা ভারতীয় বিমানের জন্য বন্ধ করেছে।
এইচআর