তিনি বলেন, দুই পক্ষের সম্মতিতে আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে, তবে নতুন তারিখ এখনও নির্ধারিত হয়নি। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ইরান ও ইউরোপীয় ‘ই৩’ দেশগুলো—ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানির মধ্যকার একটি আলাদা বৈঠকও বিলম্বিত হতে পারে।

এই কূটনৈতিক বিরতি এসেছে এমন সময়ে, যখন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতে নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ সাতটি কোম্পানি ও দুটি জাহাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ‘অবৈধ জ্বালানি বাণিজ্যে’ জড়িত থাকার অভিযোগ এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এই নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য শত শত মিলিয়ন ডলারের লেনদেন ব্যাহত করা, যাতে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি বাধাগ্রস্ত হয়।

ইরান এ নিষেধাজ্ঞার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। তারা একে ‘সর্বোচ্চ চাপ কৌশলের ব্যর্থ প্রয়াস’ বলে আখ্যা দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এসমাইল বাঘেই বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক বিবৃতি ও আচরণ দ্ব্যর্থতাপূর্ণ এবং তা কূটনৈতিক পথকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।

ওমান দীর্ঘদিন ধরে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে ব্যাকচ্যানেল হিসেবে কাজ করে আসছে এবং সাম্প্রতিক পরোক্ষ আলোচনাগুলোর আয়োজকও তারা। যদিও উভয় পক্ষ আগের আলোচনাগুলোকে ‘গঠনমূলক’ বলে উল্লেখ করেছে, তবু একটি সম্ভাব্য চুক্তির আওতা ও তার বাস্তবায়নের সময়সূচি নিয়ে এখনও গুরুত্বপূর্ণ মতপার্থক্য রয়ে গেছে।

আলোচনার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ইরান একটি অন্তর্বর্তী চুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত ৬০ দিনের সময়সীমা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়েছিলেন। এখন আলোচনায় ফিরলেও শর্ত আরোপ করে বলেছেন, তেহরান যদি আপস না করে, তবে এর গুরুতর পরিণতি হবে।

এইচআর