পাশাপাশি এটিকে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। তিনি ভারতের বিরুদ্ধে পানির রাজনীতিকরণ করার অভিযোগ করেছেন এবং বলেছেন লাখ লাখ মানুষের খাদ্য ও জীবিকা হুমকির মুখে ফেলা পাগলামি।
বিলাওয়াল বলেন, পাকিস্তান প্রমাণ করেছে যে ভারত সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত। যা কেবল প্রক্সির মাধ্যমেই নয়, তাদের সশস্ত্র বাহিনীর মাধ্যমেও। তাদের এই সন্ত্রাসবাদ পাকিস্তানের সীমানা ছাড়িয়ে শ্রীলঙ্কা ও কানাডার মতো দেশগুলো পর্যন্ত বিস্তৃত। তিনি ভারতকে সন্ত্রাসবাদ পরিত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
পিপিপি চেয়ারম্যান সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন যে তা না করলে ভবিষ্যত প্রজন্মকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে।
এদিকে পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কয়েকটি রাজ্যকে বুধবার (৭ মে) নিরাপত্তা মহড়া চালাতে বলেছে। সূত্রের বারত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি তথ্য জানিয়েছে।
এমন এক সময় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এই আদেশ দিলো যখন পহেলগামের ঘটনার পর পাকিস্তানের সঙ্গে উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাছাড়া এ ধরনের মহড়া ভারত সবশেষ চালিয়ে ছিল ১৯৭১ সালে। যখন দেশ দুইটি একই সময়ে দুই ফ্রন্টে যুদ্ধ করেছে।
এর আগে সোমবার (৫ মে) পাকিস্তান ফের ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে। ফাতাহ সিরিজের এই ক্ষেপণাস্ত্র ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য। যার রেঞ্জ ১২০ কিলোমিটার। সামরিক মহড়ার অংশ হিসেবেই ক্ষেপণাস্ত্রের এই পরীক্ষা চালানো হয়।
গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই ভারতীয় পর্যটক ছিলেন। এ ঘটনায় পাকিস্তান জড়িত বলে অভিযোগ করেছে চিরবৈরী ভারত। যদিও হামলার সঙ্গে কোনোরকম সংশ্লিষ্টতার দায় অস্বীকার করেছে পাকিস্তান।
সূত্র: জিও নিউজের
এমএম