রয়টার্সের পাওয়া নথিতে বলা হয়েছে, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর গত ৬ মার্চ কংগ্রেসে একটি নোটিফিকেশন পাঠায়। যেখানে ২৪ মিলিয়ন ডলারে ৫.৫৬ মিলিমিটার ক্যালিবার সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় কোল্ট কারবাইন রাইফেলের বিক্রির কথা উল্লেখ করা হয়।
নথিতে আরও বলা হয়েছে, এই রাইফেলের ব্যবহারকারী হবে ইসরাইলি ন্যাশনাল পুলিশ। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলের কাছে যে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র সরবরাহ করেছে তার তুলনায় এই চালান খুবই ছোট বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এটি নজরে আসে যখন বাইডেন প্রশাসন এই বিক্রির প্রক্রিয়া বিলম্বিত করে— উদ্বেগ ছিল যে, এই অস্ত্রগুলো ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হাতে পৌঁছেছে, যাদের কেউ কেউ ইসরাইল অধিকৃত পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলা চালিয়েছে।
এজন্য বাইডেন প্রশাসন পশ্চিম তীরে সহিংসতায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের ও সংস্থাগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল। ওই অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি বসতি স্থাপনকারীদের হামলার ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
পরবর্তীতে গত ২০ জানুয়ারি দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন ট্রাম্প এক নির্বাহী আদেশ জারি করে ইসরাইলের পশ্চিম তীরে বসতিকারীদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করেন। যা যুক্তরাষ্ট্রের আগের নীতির এক বড় বিপরীত পদক্ষেপ। তারপর থেকে ট্রাম্পের প্রশাসন ইসরাইলকে বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে।
গত ৬ মার্চের কংগ্রেসকে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছিল, মার্কিন সরকার রাজনৈতিক, সামরিক, অর্থনৈতিক, মানবাধিকার এবং অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক বিবেচনাগুলোকে গুরুত্ব দিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
অস্ত্র ব্যবহারে ইসরাইলের কাছ থেকে কোনো নিশ্চয়তা নেওয়া হয়েছে কিনা, এ বিষয়ে জানতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের সঙ্গে রয়টার্স যোগাযোগ করলে তাকে কোনো সাড়ায় দেয়নি।
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
এনএইচ