শনিবার তেহরানের শাহেদ বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে লারিজানি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনার বিষয়টি বাস্তবনির্ভর হওয়া উচিত। শুধু আলোচনা করলেই লাভ হয় না, আলোচনার ফলাফলই আসল বিষয়।’
তিনি ব্যাখ্যা করেন, ‘আলোচনায় বসা কিংবা বসা না-থাকা, এটি নিজে কোনো মূল্য বহন করে না। মূল মূল্য হলো আলোচনার মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ আদায় হওয়া। যদি আলোচনা সে লক্ষ্য পূরণে ব্যর্থ হয়, তাহলে তা চালিয়ে যাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই।’
পারমাণবিক আলোচনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যদি এ ধরনের আলোচনা সমস্যার সমাধানে সহায়ক হয়, তাহলে তা চালানো উচিত। কিন্তু যদি ফলপ্রসূ না হয়, তবে তা বন্ধ করা শ্রেয়।’
ইরান কখনোই বিশ্বশক্তির কাছে মাথানত করেনি, আর এ কারণেই পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ দিয়ে ইরানকে নতজানু করতে চায়
তিনি আরও বলেন, ‘আলোচনার সময় ও পরিবেশ পর্যালোচনা করে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়াই শ্রেয়, সরাসরি আলোচনা গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার আগে বাস্তবতা বিশ্লেষণ জরুরি।’
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর চাপ ও নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করে লারিজানি বলেন, ‘ইরান কখনোই বিশ্বশক্তির কাছে মাথানত করেনি, আর এ কারণেই পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা ও চাপ দিয়ে ইরানকে নতজানু করতে চায়।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে চতুর্থ দফার পরোক্ষ আলোচনা ৩ মে হওয়ার কথা থাকলেও তা স্থগিত করা হয়েছে। এর আগে, ওমানের মধ্যস্থতায় ১২, ১৯ ও ২৬ এপ্রিল মাসকাট ও রোমে ইরান-যুক্তরাষ্ট্র তিন দফা পরোক্ষ বৈঠক করেছে। আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে একটি সমঝোতা এবং তেহরানের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা।
এনএইচ