রোববার (৪ মে) ভোর ৪টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পারভিন আক্তার মারা যান।

জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জাগো নিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গত ২৭ এপ্রিল রাতে গাজীপুর নগরের মোগরখাল মোল্লা মার্কেট এলাকার একটি বাড়িতে এই গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী-শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে দগ্ধদের ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

পরদিন ২৮ এপ্রিল সকাল সোয়া ৯টার দিকে দগ্ধদের একজন সীমা আক্তার (৩০) জাতীয় বার্নে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। এর একদিন পর ২৯ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তাসলিমা আক্তার (৩০) নামে দগ্ধ আরও এক নারীর মৃত্যু হয়। তিনি অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ানের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ২৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল।

ডা. শাওন বিন রহমান জানিয়েছেন, বর্তমানে তানজিলা বেগম নামের এক নারী চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।

জানা যায়, গত ২৭ এপ্রিল রাতে ওই এলাকার একটি বাসায় পারভীন আক্তার নামের এক নারী রান্না করার সময় হঠাৎ গ্যাসের সিলিন্ডার লিকেজ থেকে আগুন ধরে যায়। এতে পারভীনসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের প্রথমে গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

এনএইচ