মঙ্গলবার (৬ মে) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।

আইন উপদেষ্টা বলেন, সকালে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্টের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।

আসিফ নজরুল বলেন, এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা আইন। কারণ বাংলাদেশে সিভিল প্রসিডিউর অ্যাক্টের মামলা নিষ্পত্তি করতে বছরের পর বছর লেগে যেত। আমরা অনেকগুলো পরিবর্তন এনেছি। আগে যখন তখন বা ইচ্ছেমতো মামলার শুনানি মুলতবি করা যেত। এখন সেটা করা যাবে না। সর্বোচ্চ চারবার পর্যন্ত করা যাবে। আগে আরজি যেটা বা রিটেন স্টেটমেন্ট দেওয়া হতো, যেটা আইনজীবীরা বলতেন আর আদালত শুনতেন। এমনও হতো ওই আরজি বা রিটেন স্টেটমেন্ট মৌখিকভাবে শুনতে শুনতেই ২ থেকে ৩ বছর কেটে যাওয়ার নজির আছে। আমরা বলেছি লিখিত আকারে যেটা দেওয়া হবে সেটা আর মৌখিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে না।

তিনি বলেন, সিভিল মামলায় রায় পাওয়ার পর এক্সিকিউশনের জন্য আলাদাভাবে মামলা করতে হতো। এখন সেটা আর করতে হবে না। সমন জারিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে সহজসাধ্য পদ্ধতি উদ্ভাবন করা হয়েছে। আমরা আশা করি সিভিল মামলা দ্রুত নিষ্পত্তিতে এই আইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

তিনি আরও বলেন, ৬ থেকে ৭টা শুনানি বা আরজি লিখিতভাবে পেশ করতে বছরের পর বছর সময় লাগাটা হয়রানিমূলক। এখন এক আইনেই সব হয়ে যাবে। আগে এক সমন জারিতেই প্রচুর সময় লাগতো। এখন সমন জারির পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, ই-মেইল, মেসেঞ্জারে মেসেজ পাঠানো যাবে। সেসবের রেকর্ড আমরা রাখব। এতে করে আমরা আশা করছি সময়ক্ষেপণ কমে যাবে। আগে যদি ৫ বছর লাগতো এখন আড়াই বছর লাগবে, আগে দুই বছর লাগলে এখন এক বছর লাগবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং যুব ও ক্রীড়া ও স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া।

এনএইচ